একটা স্ট্যাম্প একটা দেশের মুখচ্ছবি : শফিকুল ইসলাম
ডাকটিকেট সংগ্রহ করে তিনি বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিকভাবে স্বর্ণপদক পেয়েছেন। প্রায় পঞ্চাশ বছর ধরে চলছে তাঁর ডাকটিকেট সংগ্রহ। শেখ শফিকুল ইসলাম তাঁর নাম। পেশায় ব্যবসায়ী, তবে শখ দেশ ও বিদেশের ডাকটিকেট সংগ্রহ। পৃথিবীর ২১টি দেশের প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছেন তিনি, অর্জন করেছেন ৩৬টি মেডেল।
এ বছর ইন্দোনেশিয়ার বালিতে অনুষ্ঠিত ‘ফোর ন্যাশন ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যাম্পস এক্সিবিশনে’ শফিকুল ইসলাম স্বর্ণপদক পেয়েছেন। প্রদর্শনীটি অনুষ্ঠিত হয় ৬ থেকে ৮ আগস্ট। ‘স্টাডি অব ইন্ডিয়ান ফিসকাল স্ট্যাম্পস : ইউজড ইন ইস্ট বেঙ্গল ১৭১২ টু ১৮৯০’ শিরোনামে নিজের সংগ্রহ প্রদর্শন করে আন্তর্জাতিক এই প্রতিযোগিতায় তিনি স্বর্ণপদকটি পান।
শুধু ডাকটিকেট নয়, বিভিন্ন দেশের টাকা ও মুদ্রাও সংগ্রহ করেন শফিকুল ইসলাম। লিখেছেন একটি বই : পোস্ট অফিস রাবারপ্রিন্ট বাংলাদেশ অন পাকিস্তানস স্ট্যাম্পস অ্যান্ড পোস্টাল স্টেশনারি ১৯৭১-১৯৭৪। তিনি চান ডাকটিকেট প্রদর্শনীর মাধ্যমে বাংলাদেশের নাম বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে দিতে।
সম্প্রতি এনটিভি অনলাইনের সঙ্গে শফিকুল ইসলাম কথা বলেছেন, তাঁর শখের শুরু, বর্তমান সময়ের সংগ্রহ ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে। সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন বিধান রিবেরু।
এনটিভি অনলাইন : শুরুতেই অভিনন্দন জানাই। এ বছর আপনি স্বর্ণপদক জিতেছেন। স্ট্যাম্পের সঙ্গে প্রথম প্রেম বা স্ট্যাম্প সংগ্রহের শুরুটা কীভাবে হয়েছিল আপনার?
শফিকুল ইসলাম : আপনাকে ধন্যবাদ। ছোটবেলায় পুরোনো বক্সে আমার বাবার কিছু চিঠি পেয়েছিলাম। সেসব চিঠির ওপর খুব সুন্দর স্ট্যাম্প ছিল। সেগুলো দেখে আমি প্রথম উদ্বুদ্ধ হই। আমার বাবা বার্মায় থাকতেন। সেখান থেকে চিঠি পাঠাতেন। পরে অবশ্য বাবা দেশে এসে ব্যবসা শুরু করেন। ঢাকায় ছিলেন কিছুদিন, তারপর গ্রামে গিয়ে কৃষিকাজে মনোনিবেশ করেছিলেন। বাবা স্ট্যাম্প সংগ্রহ করতেন না, কিন্তু বাবাকে পাঠানো চিঠি থেকে স্ট্যাম্প সংগ্রহ করতাম। সেটাই আমার শুরু। ’৬৭ বা ’৬৮ সালের কথা হবে, তখন থেকেই আমার শখের শুরু।
এনটিভি অনলাইন : অনেকেই তো ডাকটিকেট সংগ্রহের শখ ছেড়ে দেন। কিন্তু আপনি ছাড়েননি, বরং পূর্ণ উদ্যমে সংগ্রহ করেছেন। সেসব দিনগুলোর গল্প শুনতে চাই।
শফিকুল ইসলাম : আমি যখন ব্রাহ্মণবাড়িয়া থাকতাম, তখন আমার বন্ধু-বান্ধবরাও স্ট্যাম্প কালেক্ট করত। কারো কাছে বেশি থাকলে স্ট্যাম্প পরিবর্তন করতাম। সত্তর সালের আগেই আমি স্ট্যাম্প সংগ্রহ শুরু করি। ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে ঢাকায় এলে ফার্মগেটের সালাম স্ট্যাম্প সেন্টার থেকে স্ট্যাম্প কিনতাম। একবার আমি আমার সব স্ট্যাম্প ছিঁড়ে ফেলি। তখন আমি ক্লাস সিক্সে পড়তাম। ছেঁড়ার কারণ হলো স্ট্যাম্পগুলো ছিল প্রপাগান্ডা স্ট্যাম্ট। ঢাকায় যাওয়া আসার কারণে বিচিত্র ধরনের স্ট্যাম্পের প্রতি আমার আগ্রহ বাড়ে। সালাম ভাইয়ের কাছ থেকে ২৫ পয়সা করে স্ট্যাম্প কিনতাম তখন। আর সালাম ভাইয়ের দোকানটা ছিল রাজধানীর ফার্মগেটে। তেজতুরীবাজারে বোনের বাসায় আসতাম। এসএসসি পাস করার পর স্ট্যাম্প কালেক্টরদের জন্য একটা ক্লাব করেছিলাম, লোটাস ইন্টারন্যাশনাল ক্লাব নামে। ১৯৭৬ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ক্লাবটি করেছিলাম। এ রকম অনেক ক্লাব সে সময় বিভিন্ন জায়গায় হয়েছে। অনেক ছেলেমেয়ে তখন স্ট্যাম্প সংগ্রহ করত।
এনটিভি অনলাইন : ৫০ বছর ধরে স্ট্যাম্প সংগ্রহ করছেন এটা তো অনেক কঠিন কাজ, কীভাবে সেটি সম্ভব হলো?
শফিকুল ইসলাম : আমার কাছে কখনো কঠিন মনে হয়নি। কারণ আমি স্ট্যাম্প ভালোবাসি। আমি স্ট্যাম্প সংগ্রহ করতে ভালোবাসি। আমার একটা অফিস আছে, সেখানে স্ট্যাম্প কালেক্টরদের সাহায্য করার জন্যই বসি। অনেকেই আসেন, আমার ভালো লাগে।
এনটিভি অনলাইন : সময় বদলেছে। ষাট থেকে নব্বইয়ের দশক পর্যন্ত ডাকটিকেট সংগ্রহের প্রতি আগ্রহ দেখা গেছে। এরপর ধীরে ধীরে সেখানে ভাটা পড়ে, কারণ চিঠি আদান-প্রদানের ধরনটাই পাল্টে গেছে। এই পরিবর্তনকে আপনি কীভাবে দেখেন?
শফিকুল ইসলাম : চিঠির প্রয়োজন যে শেষ, সেটা বলা যাবে না। প্রয়োজন হয় তো কমে গেছে, তবে চিঠি এখনো মানুষে লেখেন, কিন্তু পরিমাণ অনেক কম। আপনি দেখবেন কমার্শিয়ালি অনেক চিঠিপত্র লেখা হয়। সারা দুনিয়াতেই, শুধু আমাদের না, সকলের পোস্টাল বিভাগ স্ট্যাম্প প্রিন্ট করে। চিঠিপত্র আদান প্রদানের জন্য এটা জরুরি। ব্যক্তিগত না হলেও, অফিশিয়াল অনেক কাজে এখনো চিঠির ব্যবহার রয়েছে। আর সেটার ওপর স্ট্যাম্পের ব্যবহারও রয়েছে।
এনটিভি অনলাইন : বাংলাদেশের ডাক বিভাগ কি আগের মতো ডাকটিকেট ছাপাচ্ছে? সেটাতো কমেছে, তাই না?
শফিকুল ইসলাম : হ্যাঁ, বাংলাদেশে কমেছে। বিশেষ করে কোমেমোরেটিভ স্ট্যাম্প খুবই কম ছাপা হয় আমাদের দেশে। তবে কম হলেও আমাদের জন্য, আমি মনে করি যথেষ্ট। এখনো দেখা যাবে ৭১-৭২ সালের প্রচুর স্ট্যাম্ট পড়ে আছে পোষ্ট অফিসে। কারণ আমাদের কালেক্টর কম।
এনটিভি অনলাইন : ষাট-সত্তর দশকে সংগ্রাহকদের সংখ্যা ভালোই ছিল, কিন্তু এখনকার প্রজন্মে তো সংগ্রাহক অনেক কমে গেছে। আপনার কী মনে হয়, এ সংগ্রাহকের সংখ্যা আরো কমবে?
শফিকুল ইসলাম : ডাকটিকেট সংগ্রহটা আসলে ভিসুয়াল মাধ্যম। একটা স্ট্যাম্প একটা দেশের মুখচ্ছবি। স্ট্যাম্প দিয়ে দেশটাকে বোঝা যায়; যেমন দেশের অবস্থা, সংস্কৃতি ও আরো কিছু। সুতরাং স্ট্যাম্প কালেকশন যে শেষ হয়ে যাবে, তা আমি বিশ্বাস করি না। কিন্তু এটা ঠিক সংগ্রাহক অনেক কমে গেছে। এখনো যেসব ক্লাব আছে তাদের দায়িত্ব নিতে হবে। পোস্ট অফিসকে দায়িত্ব নিতে হবে। বিশেষ করে সরকারকে যেমন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে দায়িত্ব নিতে হবে, যেন এই শখটা হারিয়ে না যায়। এ ছাড়া সবাইকে উৎসাহ দিতে হবে। স্কুল-কলেজে যেতে হবে, স্ট্যাম্পের এক্সিবিশন করতে হবে। ছেলেমেয়েদের বোঝাতে হবে ডাকটিকেট সংগ্রহ করলে জ্ঞান বাড়ে, টিকেট আদা-প্রদানের ভেতর দিয়ে ভালো বন্ধুত্বও গড়ে ওঠে। এই শখ তাদের ভুল পথে নিয়ে যাবে না।
এনটিভি অনলাইন : আমরা তো জানি শখের তোলা আশি টাকা, এই শখ কি সবার জন্য ধরে রাখা সম্ভব?
শফিকুল ইসলাম : সবাই কিন্তু সব স্ট্যাম্প কালেক্ট করে না। থিম ধরে ধরে স্ট্যাম্প কালেক্ট করে। কেউ হয় তো শুধু বাংলাদেশের স্ট্যাম্প কালেক্ট করে। কেউ শুধু পাখিবিষয়ক স্ট্যাম্প, কেউ করবে অর্নামেন্ট বা ইভেন্টভিত্তিক। থিমেটিক কালেকশন বলে একে। দেখা গেল কোন একটা ছেলে ৫০০ টাকা ইনভেস্ট করেই একটি ভালো সংগ্রহ করে ফেলতে পারে। আর এটা যেহেতু একটা শখ, তাই একটু খরচ তো হবেই।
এনটিভি অনলাইন : সারা পৃথিবীতে বা বাংলাদেশেও শখের ধরনটা তো পরিবর্তন হচ্ছে, এর বড় কারণ হচ্ছে প্রযুক্তি। এখনকার ছেলেমেয়েরা সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ছেড়ে কেন ডাকটিকেট সংগ্রহ করতে আসবে?
শফিকুল ইসলাম : প্রত্যেকটা মানুষেরই শখ থাকে। স্ট্যাম্প সংগ্রহের শখটা একটু আলাদা। তা ছাড়া এই ডাকটিকেট সংগ্রহকে শখের রাজাও বলা হয়। প্রযুক্তি পরিবর্তন হচ্ছে ঠিক, কিন্তু তাতে কিন্তু ঐতিহ্য হারিয়ে যাচ্ছে না। ডাকটিকেট আমাদের ঐতিহ্য চেনাতে সাহায্য করে। ছোট্ট একটা কাগজ, সেটা পাঁচ টাকা বা দশ টাকা দাম, সেটার মধ্য দিয়ে ইতিহাস, সংস্কৃতি, ঐতিহ্য সব হাতের নাগালে পাওয়া যায়। এখনকার ছেলেমেয়েদের জ্ঞানার্জনের প্রতি আগ্রহী করে তুলতে হবে।
এনটিভি অনলাইন : জ্ঞান অর্জনের জন্য তো ধরুন ইন্টারনেট আছে। ছেলেমেয়েরা তাহলে ডাকটিকেটের কাছে যাবে কেন?
শফিকুল ইসলাম : যদি তাদের শখটা আমরা গড়ে তুলতে পারি স্ট্যাম্পের প্রতি, তাহলে তারা অবশ্যই স্ট্যাম্প কালেকশনে আগ্রহী হবে। আর এর মাধ্যমে জ্ঞানও অর্জন হবে। আর শুধু তো স্ট্যাম্প জমাতে হবে তা নয়, তারা নোট, কয়েন, কারেন্সি ইত্যাদি বিভিন্ন ধরনের জিনিস কালেক্ট করতে পারে। এটা একটা শখ। তবে শখের ভেতর স্ট্যাম্প সংগ্রহ করাটা সহজ। ছোট্ট একটি কাগজে সমস্ত ভালোবাসা বাঁধাই করা থাকে যেন।
এনটিভি অনলাইন : বর্তমানে ছেলেমেয়েদের স্ট্যাম্পে আগ্রহ বাড়াতে বা নতুন সংগ্রাহক তৈরিতে আপনারা যাঁরা দীর্ঘদিন ধরে বিষয়টি নিয়ে কাজ করছেন, তাঁদের উদ্যোগ বা পরিকল্পনা আছে কি? আর প্রদর্শনীও তো অনিয়মিত।
শফিকুল ইসলাম : আমরা আমাদের মতো করে চেষ্টা করছি আসলে। আর প্রতিবছরই এক্সিবিশন হচ্ছে ব্যক্তিগত উদ্যোগে, তবে জাতীয়ভাবে ১৯৯২ সালে শেষ এক্সিবিশন হয়েছিল। এবার এই বছরের ডিসেম্বরেও একটি প্রদর্শনী হচ্ছে, তবে এটা জাতীয়ভাবে হচ্ছে না। আমরা চেষ্টা করছি ডিসেম্বরের এই প্রদর্শনীর মাধ্যমে মূলত বাংলাদেশের সকল স্ট্যাম্প সংগ্রাহকদের একত্রে করার।
এনটিভি অনলাইন : আপনাদের এই প্রদর্শনীর উদ্দেশ্যটা কী?
শফিকুল ইসলাম : আমরা কয়েকজন সংগ্রাহক মিলে আসলে উদ্যোগটা নিয়েছি। স্ট্যাম্প কালেকশনের শখটাকে মানুষের কাছে ছড়িয়ে দেওয়াই আমাদের উদ্দেশ্য। ছোট বাচ্চাসহ স্কুল-কলেজের সবাইকে একত্রে করার চেষ্টা করছি। আমরা চেষ্টা করছি বিভিন্নভাবে তরুণদের মধ্যে এটা ছড়িয়ে দিতে। যেমন প্রদর্শনীতে স্কুল-কলেজের ছেলেমেয়েদর আমরা অন্তর্ভুক্ত করব। পুরোনো অনেক স্ট্যাম্প সংগ্রাকদের অনেকেই আবার ফিরে আসছেন এখন।
এনটিভি অনলাইন : বাংলাদেশে এখন আনুমানিক কতজন সংগ্রাহক আছেন, যাঁরা আপনার মতো দীর্ঘদিন ধরে সংগ্রহ করছেন? আর অ্যাসোসিয়েশন আছে কোনো?
শফিকুল ইসলাম : স্ট্যাম্পের অ্যাসোসিয়েশন কয়েকটি অ্যাক্টিভ আছে। বিএনপি, বাংলাদেশ ন্যাশনাল ফিলাটেলিস্ট অ্যাসোসিয়েশন ও পিএবি, ফিলাটেলিস্ট অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ, এই দুটো অ্যাক্টিভ আছে। এ ছাড়া রাজশাহী ও খুলনাতেও অ্যাসোসিয়েশন আছে। আমাদেরও প্রভিশনাল অভারপ্রিন্ট স্টাডি সার্কেল নামে আমাদের একটি অ্যাসোসিয়েশন আছে। এটার আমি চেয়ারম্যান, আর কাউন্সিল মেম্বার আকবর হুসাইন ও হাসান খুরশীদ রুমী। সব মিলিয়ে আমাদের তিনশ থেকে চারশজন সংগ্রাহক আছে সারা দেশে।
এনটিভি অনলাইন : ৫০ বছরে আপনার প্রাপ্তিটা কী?
শফিকুল ইসলাম : প্রাপ্তি হিসাব করিনি। আমি স্ট্যাম্পকে ভালোবাসি। এটা আমার শখ। আমার অন্য কোনো শখ নেই।
এনটিভি অনলাইন : আপনার সংগ্রহে লক্ষাধিক স্ট্যাম্প আছে। এটা নিয়ে কী করতে চান? ভবিষৎ পরিকল্পনা কী?
শফিকুল ইসলাম : আমার ৩২টির মতো এক্সিবিট আছে। ভবিষ্যতে একটা জাদুঘর করার ইচ্ছে আছে। আর না হলে জাতীয় জাদুঘরকে দান করে দিতে পারি।
এনটিভি অনলাইন : আপনার কি মনে হয়, সরকারের পক্ষ থেকে বা প্রাতিষ্ঠানিকভাবে সরকার কোনো ধরনের ভূমিকা রাখতে পারে ফিলাটেলির জন্য?
শফিকুল ইসলাম : আমাদের দেশের পোস্ট অফিস, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় তারা কেউ স্ট্যাম্প সংগ্রাহক নন। আর উনারা মনে করেন, স্ট্যাম্পের কাজটা বাচ্চাদের কাজ। এ জন্যই আমাদের উন্নয়নটা হচ্ছে না। মন্ত্রণালয় থেকে যেগুলো নমিনিটেড আছে, সেগুলো তো করতেই হয়। আমি পোস্ট অফিসের স্ট্যাম্প অ্যাডভাইজরি কমিটির মেম্বার। চয়নিকা কমিটি বলে এটাকে। আমরাও স্ট্যাম্প করার প্রস্তাব করি। সেখান থেকে প্রস্তাব গৃহীত হয়। তবে পোস্ট অফিস সাধারণত নমিনিটেডগুলো বেশি করে। ১৯৯২ সালের পর থেকে কোনো জাতীয়ভাবে এক্সিবিশন হয়নি। এখন আমরা খেলার পেছনে অনেক ব্যয় করি, কিন্তু কিছু টাকা খরচ করলেই ফিলাটেলির জন্য অনেক কিছু করা যায়।
এনটিভি অনলাইন : ভবিষ্যতের ডাকটিকেট সংগ্রাহকদের উদ্দেশ্য কী বলতে চান?
শফিকুল ইসলাম : আমার সবকিছু থাকতে হবে, তার কোনো মানে নেই। আমি যেটা ভালোবাসি, সেটাই সংগ্রহ করব। আমার সংগ্রহে দুইটা স্ট্যাম্পও থাকতে পারে। আমি যে বিষয়টা পছন্দ করি, সেটাই সংগ্রহ করব। লাখ লাখ বা হাজার হাজার যে থাকতে হবে, তার কোনো মানে নেই। থিম ধরে কালেক্ট করতে করতে একসময় দেখা যাবে, সেটাই অনেক সুন্দর সংগ্রহ হয়ে উঠবে।
এনটিভি অনলাইন : ধন্যবাদ।
শফিকুল ইসলাম : আপনাকেও ধন্যবাদ।