অভিবাসী সংকটের দায় নিচ্ছে না মিয়ানমার
ক্রমবর্ধমান অভিবাসী সংকটের দায় মিয়ানমার নেবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে দেশটির সরকার। এর ফলে চলতি মাসের শেষের দিকে অভিবাসী ইস্যুতে থাইল্যান্ডে অনুষ্ঠেয় জরুরি বৈঠকে মিয়ানমারের অংশগ্রহণ সংশয় দেখা দিল।
বার্তা সংস্থা এপি জানিয়েছে, গত কয়েকদিনে দুই সহস্রাধিক ক্ষুধার্ত মানুষ ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া ও থাইল্যান্ডে আশ্রয় নিয়েছে। মানব পাচারকারীদের বিরুদ্ধে অভিযানের পর আরো কয়েক হাজার অভিবাসী গভীর সমুদ্রে আটকে আছে বলে ধারণা করছে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো।
উল্লিখিত তিনটি দেশই তাদের সমুদ্র উপকূলে নৌবাহিনী মোতায়েন করেছে। তারা অভিবাসী বহনকারী নৌযানগুলোকে খাদ্য ও পানীয় সহায়তা দিয়ে ফিরিয়ে দিচ্ছে।
এপি জানিয়েছে, অভিবাসীদের মিয়ানমারের রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশি নাগরিক। তারা সচ্ছল জীবনের আশায় নৌযানে করে সমুদ্র পাড়ি দেয়।
মিয়ানমারের প্রেসিডেন্টের অফিসের পরিচালক মেজর জাউ হতাই বলেন, 'আমরা অভিবাসী সমস্যাটি উপেক্ষা করছি না, তবে কী আলোচনা হবে সেটার ওপর ভিত্তি করে বৈঠকে অংশগ্রহণের ব্যাপারে আমাদের নেতারা সিদ্ধান্ত নেবেন।'
প্রতিবেশী দেশগুলোর প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, 'মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে এটা দুঃখজনক যে, কিছু দেশ লোকজনকে সমুদ্রের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।'
অভিবাসীদের সবার লক্ষ্যস্থল মালয়েশিয়া। এপি জানিয়েছে, গত কয়েক বছরে ৪৫ হাজার রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছে দেশটি। তবে এখন আর সেটা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছে মালয়েশিয়ার সরকার। ইন্দোনেশিয়া ও থাইল্যান্ড একই সুরে কথা বলেছে।
অভিবাসী সমস্যার 'মূল কারণ ও ভারত মহাসাগরে অবৈধ অভিবাসন' নিয়ে আলোচনা করতে আগামী ২৯ মে একটি জরুরি বৈঠকের আয়োজন করেছে থাইল্যান্ড। এতে ১৫টি দেশের অংশগ্রহণ করার কথা রয়েছে।
জাউ হতায় জানান, আমন্ত্রণপত্রে 'রোহিঙ্গা' উল্লেখ থাকে তাহলে মিয়ানমার সরকার বৈঠকে অংশ নেবে না। তিনি কয়েকটি সরকারকে অভিযোগ করে বলেন, এসব দেশ মানব পাচার ও দাস সমস্যা মিয়ানমারের ওপর চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে।