‘বাংলাদেশ গেমসে নতুন মুখ পাওয়াটাই বড় প্রাপ্তি’
বঙ্গবন্ধু নবম বাংলাদেশ গেমস থেকে অনেক উদীয়মান খেলোয়াড় উঠে আসবে, সমৃদ্ধ হবে দেশের ক্রীড়াঙ্গন, আয়োজকদের এমন প্রত্যাশা কিছুটা হলেও পূর্ণ হয়েছে। ব্যাডমিন্টনে উর্মি ও গৌরব, আর্চারিতে রাম কৃষ্ণ সাহার মতো বিভিন্ন ডিসিপ্লিন থেকে উঠে এসেছেও অনেক নতুন মুখ। যারা আগামীতে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে দেশের প্রতিনিধিত্ব করবেন।
বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি, মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান শেখ বশির আহমেদ মামুন জানিয়েছেন, গেমস আয়োজনে শতভাগ প্রত্যাশা পূরণ হয়েছে।
প্রশ্ন : বঙ্গবন্ধু নবম বাংলাদেশ গেমসের পর্দা নামছে। এই পর্যায়ে এসে গেমস নিয়ে আপনার মূল্যায়ন কী?
উত্তর : আমি মনে করি, এবারের বাংলাদেশ থেকে অনেক নতুন মুখ এসেছে। তরুণরা নিজেদের প্রমাণ করেছেন।
প্রশ্ন : এই গেমস কতটুকু সফল হয়েছে বলে মনে করেন?
উত্তর: দীর্ঘ স্থবিরতার পর ক্রীড়াঙ্গনে প্রাণ ফিরেছে। এই গেমস সার্বিকভাবেই সফল হয়েছে।
প্রশ্ন : গেমস আয়োজনে করোনাভাইরাস বড় বাধা ছিল। সেই চ্যালেঞ্জ কীভাবে কাটিয়ে উঠলেন?
উত্তর : অবশ্যই করোনাভাইরাস একটা বড় বাধা ছিল। এখনও আছে। তবে আমাদের শক্তিশালী মেডিকেল টিম এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সহায়তায় আমাদের ক্রীড়াবিদদের করোনা সংক্রমণমুক্ত রেখে আমরা গেমসকে সফল করতে পেরেছি।
প্রশ্ন : আপনি তো বিভিন্ন ভেন্যুতে ঘুড়েছেন। সেখানকার পরিবেশ কেমন মনে হয়েছে?
উত্তর: সব ভেন্যুতেই আমি গিয়েছি। অন্যবারের তুলনায় এবার আমি উল্লেখযোগ্য পার্থক্য লক্ষ্য করেছি। কারণ এবার প্রতিটি ভেন্যু ছিল পরিচ্ছন্ন ও গোছানো। সবাইকে নিয়মনীতি যথাযথভাবে অনুসরণ করতে দেখেছি। আরও যা ভালো লেগেছে তা হলো, ভেন্যুগুলো পরিচালনায় আমি বিদেশের ছায়া লক্ষ্য করেছি।
প্রশ্ন : গেমস আয়োজনে সরকার ও ফেডারেশনসহ সংশ্লিষ্ঠদের কাছ থেকে কেমন সহযোগিতা পেয়েছেন?
উত্তর : সরকার অর্থসহ প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহায়তা দেওয়ায় আমরা গেমস আয়োজন করতে পেরেছি। এই গেমস আয়োজনে তিনি ব্যক্তিগতভাবে উৎসাহ দিয়েছেন। এছাড়া ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ও পাশে দাঁড়িয়েছে।
প্রশ্ন : খেলোয়াড় ও কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে আপনার বার্তা?
উত্তর : খেলোয়াড়দের উদ্দেশে বলতে চাই, খেলাটা তাদের প্রধান লক্ষ্য হওয়া উচিত। নিজেদের সব সময়ই প্রতিযোগিতার জন্য তৈরি রাখতে হবে। যে কোনো পরিস্থিতিতে অনুশীলন চালিয়ে যেতে হবে। সুযোগ যেমনই হোক সেটাকে কাজে লাগাতে হবে।
প্রশ্ন : আগামীতে বাংলাদেশ গেমসে কোন কোন বিষয়ে জোর দেওয়া উচিত বলে আপনি মনে করেন?
উত্তর : দীর্ঘ সময় প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। যাতে করে আরও বেশি প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে ওঠে। আর খেলাধুলাকে আরও বেশি ছড়িয়ে দিতে হবে। এবার আটটি বিভাগে খেলা হয়েছে। আমি মনে করি সংখ্যাটা আরও বাড়ানো প্রয়োজন।