রম্য
ডাস্টবিন রক্ষায় করণীয়!
অতি সাম্প্রতিককালে আমরা সবাই লক্ষ করেছি, সিটি করপোরেশন কর্তৃক বিভিন্ন জায়গায় অত্যাধুনিক ডাস্টবিন বসানো হয়েছে। এটা খুবই ভালো খবর, কিন্তু মন্দ খবর হলো এই ডাস্টবিনগুলো কিছু মন্দ লোকের দ্বারা চুরি হচ্ছে বা হতে পারে এমন আশঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া যায় না। কেননা আগের ম্যানহোলের ঢাকনা গায়েব হওয়ার অভিজ্ঞতা থেকে বলা যেতে পারে! আর তাই এসব ডাস্টবিন রক্ষায় করণীয় কিছু পদ্ধতি বা নমুনা দেওয়া হলো।
সিসিটিভি ক্যামেরা পদ্ধতি : প্রতিটি ডাস্টবিন কেন্দ্র করে সিসিটিভি বসানো যেতে পারে! যাতে করে, এই ডাস্টবিন চুরি হওয়ার মতো এমন ভয়াবহ ঘটনা আর না ঘটতে পারে। এর জন্য অবশ্য সিসিটিভি তে নজর রাখা দরকার। তারপরেও যদি কখনো ডাস্টবিন চুরি হয়ে যায়, তাহলে তৎক্ষণাৎ পূর্বের সিসিটিভি ফুটেজ দেখে ডাস্টবিন চোর শনাক্ত করতে হবে।
বৈদ্যুতিক শকের ব্যবস্থা : এমনও হতে পারে যে, ডাস্টবিনের গায়ের সঙ্গে এমন ব্যবস্থা রাখা হবে যে ময়লা সবাই স্বাভাবিকভাবে ফেলতে পারলেও যদি ডাস্টবিন কেউ চুরি করতে যায়, তাহলে সে অদ্ভুদভাবে বৈদ্যুতিক শক খেতে থাকবে। সঙ্গে সঙ্গে তাকে পাকড়াও করা হবে।
পুলিশি পাহারা ব্যবস্থা : এ ছাড়া ডাস্টবিন রক্ষায় আরো যা করা যেতে পারে, তা হলো, পুলিশি পাহারা বসানো হবে। তখন দেখা যাবে, চোর তো চোর! চোরের বাবাও ডাস্টবিন চুরি করতে পারবে না। বরং তখন দেখা যাবে পুলিশ দেখে আশপাশে অপরাধও অনেক কমে গেছে। এ হলো, অনেকটা একঢিলে দুই পাখি মারার কৌশল।
লক সিস্টেম প্রয়োগ : আমরা সাধারণত কোনো কিছুর নিরাপত্তা বলতে ওই তালাকেই বুঝি। এই জন্য অবশ্য সাইকেল, মোটরসাইকেল, বিভিন্ন গাড়িতে আমরা লক করে রাখি, যাতে করে চোরে তা নিতে না পারে। তেমনিভাবে, ডাস্টবিনেও যদি লক করে রাখার সিস্টেম করা যায়, তাহলে নো চিন্তা-ভাবনা।
সিকিউরিটি গার্ড নিয়োগ : এত কিছুর পরেও যদি দেখা যায়, যে ডাস্টবিন চুরি কমছে না! তাহলে প্রতিটি ডাস্টবিনের জন্য কিছু সিকিউরিটি গার্ড নিয়োগ করা যেতে পারে। তাহলে যদি ডাস্টবিন চুরি কিছুটা হলেও কমে।
সাইরেন বাজানো পদ্ধতি : ডাস্টবিন চুরি করতে এসে কোনো চোর যদি তা স্পর্শ করে, ওমনি দেখা যাবে সাইরেন বেজে উঠছে। আর সবাই সেই চোর কে ধরে ফেলবে। এটা করার মাধ্যমেও ডাস্টবিন রক্ষা করা যেতে পারে।