ডোমিনেজ স্টিলের ৯৩ শতাংশ আয় কমেছে, লভ্যাংশ ঘোষণা
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ‘বি’ ক্যাটাগরির ডোমিনেজ স্টিল বিল্ডিং সিস্টেমসের ২০২২-২০২৩ সমাপ্ত অর্থবছরে (জুলাই-জুন) আয় কমেছে ৯৩ শতাংশ। এরপরও সমাপ্ত অর্থবছরে কোম্পানিটি শেয়ারহোল্ডারদের জন্য দশমিক ৫০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অপরদিক কোম্পানিটি ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) আয় বেড়েছে ৩৩ শতাংশ। আজ বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
২০২২-২০২৩ সমাপ্ত অর্থবছরে ডোমিনেজ স্টিল বিল্ডিং সিস্টেমসের শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৪ পয়সা। আগের ২০২১-২০২২ অর্থবছরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় ছিল ৫৫ পয়সা। এই সময়ে ব্যবধানে আয় কমেছে ৫১ পয়সা বা ৯২ দশমিক ৭২ শতাংশ। সমাপ্ত অর্থবছরে শেয়ার প্রতি নগদ প্রবাহ (এনওসিএফপিএস) ১ টাকা ৪০ পয়সা। আগের অর্থবছরের এনওসিএফপিএস ছিল ২ টাকা ৬১ পয়সা। গত ৩০ জুন কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১৭ টাকা ১৪ পয়সা। আগের অর্থবছরে এনএভিপিএস ছিল ১৭ টাকা ২৩ পয়সা। ঘোষিত লভ্যাংশ শেয়ারহোল্ডারদের সম্মতিক্রমে অনুমোদনের জন্য কোম্পানিটির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) ডিজিটাল প্লাটফর্মে শুরু হবে আগামী ৩০ ডিসেম্বর বিকেল ৩টায়। এর জন্য রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ৬ ডিসেম্বর।
একইদিন চলতি অর্থবছরের (২০২৩-২০২৪) প্রথম প্রান্তিকের (জুলাই-সেপ্টেম্বর) আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে কোম্পানিটি। প্রতিবেদন হিসেবে প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটি আয় বেড়েছে। কোম্পানিটির প্রথম প্রান্তিকে শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৪ পয়সা। আগের অর্থবছরের (২০২২-২০২৩) একই সময়ে শেয়ার প্রতি আয় হয়েছিল ৩ পয়সা। এই সময়ের ব্যবধানে শেয়ার প্রতি আয় বেড়েছে ১ পয়সা বা ৩৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ। বিদায়ী প্রথম প্রান্তিকে এনওসিএফপিএস ২ পয়সা। আগের অর্থবছরের একই সময়ে এনওসিএফপিএস ছিল ৫৩ পয়সা। গত ৩০ সেপ্টেম্বর কোম্পানিটির এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ১৭ টাকা ১৮ পয়সা।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় ডোমিনেজ স্টিল বিল্ডিং সিস্টেমস। কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন ১৫০ কোটি টাকা। পরিশোধিত মূলধন ১০২ কোটি ৬০ লাখ টাকা। শেয়ার সংখ্যা ১০ কোটি ২৬ লাখ। রিজার্ভ ৭৪ কোটি ২৩ লাখ টাকা। বৃহস্পতিবার লেনদেন শুরুতে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি দর ছিল ১৬ টাকা ২০ পয়সা। কোম্পানিটির উদ্যোক্ত পলিচালক ৩০ দশমিক ২০ শতাংশ শেয়ার ধারন করেছে। এছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক পরিচালক ৭ দশমিক ৩৩ শতাংশ, বিদেশি দশমিক শূন্য ১ শতাংশ এবং সাধারন বিনিয়োগকারীরা ৬২ দশমিক ৪৬ শতাংশ শেয়ার ধারণ করেছে।