লভ্যাংশ দেবে না আরামিট সিমেন্ট, প্রান্তিকে বেড়েছে লোকসান
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ‘বি’ ক্যাটাগরির আরামিট সিমেন্টের ২০২২-২০২৩ সমাপ্ত অর্থবছরে (জুলাই-জুন) শেয়ার প্রতি লোকসান গুনছে ১৬ টাকা ৬৭ পয়সা। এতে সমাপ্ত অর্থবছরে কোম্পানিটি শেয়ারহোল্ডারদের জন্য লভ্যাংশ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অপরদিক কোম্পানিটি ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) লোকসান বেড়েছে ৫২ শতাংশ। আজ বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
২০২২-২০২৩ সমাপ্ত অর্থবছরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ১৬ টাকা ৬৯ পয়সা। আগের ২০২১-২০২২ অর্থবছরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি লোকসান ছিল ১৬ টাকা ৮৮ পয়সা। এই সময়ে ব্যবধানে আয় কমেছে ১৯ পয়সা। সমাপ্ত অর্থবছরে শেয়ার প্রতি নগদ প্রবাহ (এনওসিএফপিএস) ১ টাকা ৫০ পয়সা। আগের অর্থবছরের এনওসিএফপিএস ছিল ৫ টাকা ৮৮ পয়সা। গত ৩০ জুন কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে নেগেটিভ ৪ টাকা ৩ পয়সা। আগের অর্থবছরে এনএভিপিএস ছিল ১২ টাকা ৫৮ পয়সা। ঘোষিত লভ্যাংশ শেয়ারহোল্ডারদের সম্মতিক্রমে অনুমোদনের জন্য কোম্পানিটির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) ডিজিটাল প্লাটফর্মে শুরু হবে আগামী ৩০ ডিসেম্বর বেলা ১২টায়। এর জন্য রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ৬ ডিসেম্বর।
একইদিন চলতি অর্থবছরের (২০২৩-২০২৪) প্রথম প্রান্তিকের (জুলাই-সেপ্টেম্বর) আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে কোম্পানিটি। প্রতিবেদনে প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটি লোকসান বেড়েছে। কোম্পানিটির প্রথম প্রান্তিকে শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ৪ টাকা ২ পয়সা। আগের অর্থবছরের (২০২২-২০২৩) একই সময়ে শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছিল ২ টাকা ৬৪ পয়সা। এই সময়ের ব্যবধানে শেয়ার প্রতি লোকসান বেড়েছে ১ টাকা ৩৮ পয়সা বা ৫২ দশমিক ২৭ শতাংশ। প্রথম প্রান্তিকে এনওসিএফপিএস নেগেটিভ ৩ টাকা ৪৬ পয়সা। আগের অর্থবছরের একই সময়ে এনওসিএফপিএস ছিল ১ টাকা ৯৮ পয়সা। গত ৩০ সেপ্টেম্বর কোম্পানিটির এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে নেগেটিভ ৮ টাকা ৪৯ পয়সা।
উল্লেখ্য, ১৯৯৮ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় আরামিট সিমেন্ট। কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন ৫০ কোটি টাকা। পরিশোধিত মূলধন ৩৩ কোটি ৮৮ লাখ টাকা। শেয়ার সংখ্যা ৩ কোটি ৩৮ লাখ ৮০ হাজার। বৃহস্পতিবার লেনদেন শুরুতে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি দর ছিল ২৩ টাকা ৪০ পয়সা। কোম্পানিটির উদ্যোক্ত পলিচালক ৪৫ দশমিক ৯২ শতাংশ শেয়ার ধারন করেছে। এছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক পরিচালক ১১ দশমিক ১৫ শতাংশ এবং সাধারন বিনিয়োগকারীরা ৪২ দশমিক ৯৩ শতাংশ শেয়ার ধারণ করেছে।