স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে শিক্ষা পদ্ধতির পরিবর্তন দরকার : ডিএসই চেয়ারম্যান
স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য দক্ষ মানবসম্পদ ও শিক্ষা পদ্ধতি পরিবর্তন আনতে হবে জানিয়ে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. হাফিজ মুহম্মদ হাসান বাবু বলেছেন, নতুন নতুন উদ্ভাবন ও গবেষণার মাধ্যমে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে।
আজ সোমবার (২০ নভেম্বর) ই-গভর্ন্যান্স ও উদ্ভাবন কর্ম পরিকল্পনা ২০২৩-২৪ বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন কর্তৃক আয়োজিত ‘শিক্ষা, গবেষণা ও উদ্ভাবন’ শীর্ষক কর্মশালায় ডিএসই চেয়ারম্যান এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন। এতে সভাপতিত্ব করেন ইউজিসির রিসার্চ সাপোর্ট এন্ড পাবলিকেশন ডিভিশনের পরিচালক ড. মো. ফখরুল ইসলাম।
প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশে ডিজিটাল বাংলাদেশের ধারণা প্রবর্তন করেছেন জানিয়ে ড. হাসান বাবু বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশের সামনে হাতছানি দিচ্ছে স্মার্ট বাংলাদেশ। ২০৪১ সালের মধ্যে এটি বাস্তবায়ন করা হবে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশ উন্নত বিশ্বের একটি দেশে পরিণত হবে। ইতোমধ্যে আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশে পদার্পণ করেছি। সরকারের এই মিশন বাস্তবায়নের জন্য রাষ্ট্রের সরকারি ও বেসরকারি হাজারো প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির কার্যকর ভূমিকা অনস্বীকার্য। স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য দক্ষ মানবসম্পদ ও শিক্ষা পদ্ধতি পরিবর্তন আনতে হবে। নতুন নতুন উদ্ভাবন ও গবেষণার মাধ্যমে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকেও কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে।
সমাজের কোনো সমস্যা অনুধাবন ও জনসচেতনতা বৃদ্ধির একমাত্র উপযুক্ত মাধ্যম হলো গবেষণা মন্তব্য করে ডিএসই চেয়ারম্যান বলেন, গবেষণা হলো তথ্য বিন্যস্তকরণ ও নতুন সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর জন্য উপকরণ। গবেষণার মাধ্যমে সামাজিক অস্থিরতা, বিশৃঙ্খলা দূর করে একটি জাতিকে তার কাঙ্ক্ষিত সাফল্যে পৌঁছানো সম্ভব। গবেষণার মাধ্যমে সৃষ্ট জ্ঞান, চিন্তা ও আবিষ্কার একটি জাতিকে সঠিক সিদ্ধান্তে পৌঁছে দিতে পারে৷ গবেষণাই পারে সামাজিক ও অর্থনৈতিক সমস্যা সম্পর্কে জানা এবং সমাধানের পথ বের করা। অধিক গবেষণা নির্ভর দেশগুলো বেশি সমৃদ্ধশালী৷ স্মার্ট বিশ্বের সাথে তাল মেলাতে স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনের কোন বিকল্প নেই। দেশের দীর্ঘমেয়াদি সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য অবকাঠামোগত উন্নয়নের পাশাপাশি প্রাতিষ্ঠানিক উন্নয়নের মাধ্যমে বহুমাতৃক কর্মপরিকল্পনা ও কর্মকৌশল গ্রহণ করেছে সরকার। এই বাস্তবতায় চতুর্থ শিল্প বিপ্লব বিজয়ের লক্ষ্যে সরকারের মিশন হচ্ছে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলা।
উদ্ভাবন নিয়ে ড. হাসান বাবু বলেন, ছোট পরিবর্তন থেকেও বৃহত পরিবর্তন আনা সম্ভব। ছোট প্রকল্প বা আইডিয়াগুলোকে বের করার মাধ্যমেই বড় বড় প্রকল্প গড়ে তোলা যেতে পারে। ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার পরিকল্পনার নেওয়া হয়েছে৷ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার জন্য অবশ্যই বৃহত্তর পরিসরে উদ্ভাবন নিয়ে কাজ করতে হবে৷ ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে হলে প্রয়োজন হবে উদ্যোক্তাদের উদ্ভাবনী চিন্তা। শিক্ষা, গবেষণা ও উদ্ভাবন এই তিনটি জিনিসের সমন্বয় ঘটিয়ে স্মার্ট, সমৃদ্ধ ও সুষম বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে হবে।
ড. হাসান বাবু বলেন, ২০২৪ সালের নির্বাচনের জন্য স্মার্ট বাংলাদেশকে সামনে রেখে যে ইশতেহার প্রণয়ন করা হবে, সেখানে আমরা সমগ্র বিশ্বকে দেখাতে চাই। বাংলাদেশ আজ প্রযুক্তিতে ও উন্নয়নে পিছিয়ে নেই, বাংলাদেশ আজ চিন্তা করছে কীভাবে উন্নত বিশ্বের দোড়গোড়ায় পৌঁছানো যায়।