পিই রেশিও বাড়লেও ডিএসইতে বিনিয়োগ নিরাপদ
বিদায়ী সপ্তাহে (রোববার থেকে বৃহস্পতি) পর্যন্ত সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) বেড়েছে। এসময়ে ডিএসইর পিই রেশিও বেড়েছে দশমিক ২৬ শতাংশ। আজ শনিবার (৬ এপ্রিল) ডিএসইর সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনা দেখা যায়, গেল সপ্তাহের শেষে (বৃহস্পতিবার) ডিএসইর পিই রেশিও অবস্থান করে ১১ দশমিক ৬৭ পয়েন্টে। এর আগের সপ্তাহের শেষে (বৃহস্পতিবার) ডিএসইর পিই রেশিও অবস্থান করেছিল ১১ দশমিক ৬৪ পয়েন্টে।
পুঁজিবাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, পুঁজিবাজারে কোনো কোম্পানির পিই রেশিও ১৫ পয়েন্ট ছাড়ালেই তা বিনিয়োগের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। অন্যদিকে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনও (বিএসইসি) মার্জিন ঋণের যোগ্যতা হিসেবে সর্বোচ্চ ৪০ পিই রেশিও বেঁধে দিয়েছে। এ হিসেবে ৪০ পর্যন্ত পিইধারীর শেয়ার বিনিয়োগের জন্য নিরাপদ বলে জানায় বিএসইসি। সেই হিসেবে গত বৃহস্পতিবারের ডিএসইর পিই রেশিও হিসাবে বিনিয়োগ নিরাপদ অবস্থানে রয়েছে।
এদিকে খাতভিত্তিক হিসেবে বিনিয়োগ সব চেয়ে বেশি নিরাপদ অবস্থানে আছে ব্যাংক খাত। খাতটির পিই রেশিও ছয় দশমিক ১২ পয়েন্ট। এরপর বিনিয়োগ নিরাপদ জায়গায় আছে জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাত। খাতটির পিই রেশিও ৯ দশমিক ২৬ পয়েন্টে। খাতভিত্তিক পিই রেশিওগুলোর মধ্যে সিমেন্ট খাতে ১২ দশমিক ৪৯ পয়েন্টে, টেলিযোগাযোগ খাতে ১২ দশমিক ৭২ পয়েন্টে, ওষুধ ও রসায়ন খাতে ১৩ দশমিক ৩৫ পয়েন্টে, খাদ্য ও আনুসঙ্গিক খাতে ১৪ দশমিক ৪০ পয়েন্টে, নন ব্যাংকিং আর্থিক খাতে ১৫ দশমিক ২৬ পয়েন্টে, বস্ত্র খাতে ১৬ দশমিক ৩৪ পয়েন্টে, সাধারণ বিমা খাতে ১৬ দশমিক ৪৬ পয়েন্টে, সেবা ও আবাসন খাতে ১৭ দশমিক ৭১ পয়েন্ট, প্রকৌশল খাতে ২০ দশমিক ১৯ পয়েন্টে, আইটি খাতে ২১ দশমিক ৮৫ পয়েন্টে, পেপার ও প্রিন্টিং খাতে ২৩ দশমিক শূন্য চার পয়েন্টে, ট্যনারি খাতে ২৩ দশমিক ৬৩ পয়েন্টে, ভ্রমণ ও অবকাশ খাতে ২৩ দশমিক ৬৭ পয়েন্ট, পাট খাতে ২৭ দশমিক ৯৩ পয়েন্টে, মিউচ্যুযাল ফান্ড খাতে ৩২ দশমিক ৮৫ পয়েন্টে, সিরামিক খাতে ৩৭ দশমিক ২৯ পয়েন্টে ও বিবিধ খাতে ৩৮ দশমিক ১৬ পয়েন্টে অবস্থান করছে।