লুসির স্মরণে গুগল ডুডল
৩২ লাখ বছর আগে মানুষ দেখতে কেমন ছিলেন? আমাদের মতোই ছিলেন। আর সেই প্রমাণই দিল লুসি। লুসি আসলে একটি কঙ্কালের নাম। ৪১ বছর আগে আজকের দিনে খুঁজে পাওয়া গিয়েছিল লুসিকে। আর লুসিকে পাওয়ার মধ্য দিয়েই বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করেছিলেন মানুষের বিবর্তনের সূত্র। ইথিওপিয়ার প্রত্যন্ত গ্রামে খুঁজে পাওয়া যায় এই কঙ্কাল, বিজ্ঞানীরাই এর নাম দিয়েছিলেন ‘লুসি’।
ইথিওপিয়ায় কঙ্কালটি যখন খুঁজে পাওয়া গিয়েছিল, তখন সেই কঙ্কালের ৪০ শতাংশ ছিল অক্ষত। যদিও সেই ফসিলের অধিকাংশই ছিল খণ্ডিত। এ খবর টাইম ম্যাগাজিনসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে গুরুত্বের সঙ্গে তখন ছাপা হয়।
১৯৭৪ সালের ২৪ নভেম্বর ইথিওপিয়ার হাদার গ্রামে ইভেস কোপেন্স, মারিউস তাইয়েব ও ডোনাল্ড জোহানসনের নেতৃত্বে একদল বিজ্ঞানী খুঁজে পেয়েছিলেন লাখো বছরের পুরোনো কঙ্কালটি। কয়েক সপ্তাহ ধরে এ রকমই কিছু খুঁজছিলেন ওই বিজ্ঞানীরা।
বিজ্ঞানী দলের নেতৃত্ব দেওয়া তাইয়েব প্রত্নতাত্ত্বিক গবেষণা বিশ্লেষণ করে হাদার গ্রামের নির্দিষ্ট এলাকা চিহ্নিত করেছিলেন। এ সময় তাঁকে সাহায্য করেন ডক্টর জোহানসন ও তাঁর ছাত্র টম গ্রে।
লুসি নামটা দেওয়া হয়েছিল ব্রিটিশ ব্যান্ড বিটলসের ‘লুসি ইন দ্য স্কাই উইথ ডায়মন্ডস’ গান থেকে। যখন বিজ্ঞানীরা কঙ্কালটি খুঁজে পান, তখন একটি ছোট টেপ রেকর্ডারে বিটলসের ওই গানটি অবিরত বেজে চলছিল। আর সেখান থেকেই কঙ্কালটির নাম ‘লুসি’ রাখেন বিজ্ঞানীরা।
৩২ লাখ বছরের পুরোনো লুসি ছিল অস্ট্রোলোপিথিস আফারেনসিস প্রজাতির সদস্য। এই প্রজাতি মানুষ এবং এপের বৈশিষ্ট্য ধারণ করত। এমন ব্যাখ্যাই জানা যায় দ্য টেলিগ্রাফ থেকে।
গুগলের বিশেষ ডুডলে গ্রাফিকসের মাধ্যমে দেখানো হয়েছে লুসি হাঁটতে হাঁটতে এপ থেকে মানুষের আকৃতি নিচ্ছে। এর মাধ্যমে এপ থেকে মানুষের বিবর্তনকে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।
বিশেষ বিশেষ দিবস উপলক্ষে গুগল তাদের হোমপেজকে বিভিন্ন ধরনের ডুডল দিয়ে সাজায়।