ফেসবুকের মতোই টাইমলাইন তৈরি করছে টুইটার
টুইটারের টাইমলাইন শুরু থেকেই কালক্রমানুসারে সাজানো হয়ে থাকে। অর্থাৎ সবচেয়ে নতুন পোস্টটিই টাইমলাইনে সব সময় প্রাধান্য পেয়ে থাকে। কিন্তু এত বছরে বেশির ভাগ ব্যবহারকারীর জন্যই এই এলগোরিদমটি খুব জটিল হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে।
তাই টুইটার অবশেষে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাদের এই টাইমলাইনটি পরিবর্তন করার। বাজফিড নিউজের প্রতিবেদন মতে, কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই টুইটার তাদের এই সময়ের ক্রমানুসারে সাজানো টাইমলাইনটি পরিবর্তন করতে প্রয়োগ করবে নতুন এলগোরিদম।
যার মাধ্যমে সাম্প্রতিক পোস্টের পরিবর্তে ব্যবহারকারীর জন্য প্রাসঙ্গিক এবং সময়োপযোগী পোস্ট জায়গা পাবে। অর্থাৎ ফেসবুকের অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী টুইটার শেষ পর্যন্ত ফেসবুকের মতো করেই তাদের টাইমলাইন সাজানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
গত বছরই টুইটার তাদের কিছু বিশেষ ব্যবহারকারীর মাধ্যমে এই টাইমলাইনটি পরীক্ষা করে দেখেছে, যদিও তাদের অনেকের কাছেই বিষয়টি ভালো লাগেনি।
কিন্তু বিশেষ ব্যবহারকারীদের খুশি রাখার চেয়ে ব্যবহারকারীর সংখ্যা বাড়ানোর দিকেই এখন বেশি আগ্রহী বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ এই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম।
বর্তমানে তাদের এই ধুঁকতে থাকা অবস্থা পরিবর্তনের জন্য বেশ কিছু নীতি হাতে নেওয়া হয়েছে, যার মধ্যে এই টাইমলাইনটি অন্যতম। ২০১৪ সালে টুইটারের সিওএফ অ্যান্থনি নটো তো স্বীকারই করে নিয়েছিলেন যে টুইটারের এই কালক্রমানুসারে সাজানো টাইমলাইনটি ব্যবহারকারীদের জন্য সুবিধাজনক নয়।
এমনকি গত বছর টুইটারের এক মুখপাত্র বলেছিলেন, ‘আমরা চেষ্টা করছি সবচেয়ে প্রয়োজনীয় বিষয়াদিই ব্যবহারকারীদের সামনে তুলে ধরার।’
টুইটারের সিইও জ্যাক ডর্সির বিশ্বাস, নতুন টাইমলাইনের মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের কাছে আরো বেশি উপকারী এবং ব্যবহারযোগ্য হয়ে উঠবে টুইটার। কারণ টুইটারের কালক্রমানুসারে সাজানো টাইমলাইনের চেয়ে ফেসবুকের ‘অগোছালো’ টাইমলাইনই মানুষের কাছে বেশি প্রিয় হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে।
তাই টুইটারের নতুন টাইমলাইনও সবার কাছে বেশ জনপ্রিয়তা পেতে পারে। তবে নতুন টাইমলাইনটির অর্ডার তৈরি হবে বেশ কিছু এলগরিদমের ওপর ভিত্তি করে। ফেসবুকের মতোই ব্যবহারকারীর রুচি এবং মন-মর্জি অনুযায়ী এলগোরিদম সাজানোর কথা বলেছেন টুইটারের ব্র্যান্ডেড কন্টেন্ট ডিরেক্টর জশ স্টেনবার্গ।
টুইটারকে জনপ্রিয় করার জন্য ডর্সির আরো কিছু পরিকল্পনার মধ্যে আছে টুইটার মোমেন্টেস, বড় ম্যাসেজ পাঠানোর সার্ভিস, পেরিস্কোপ ভিডিও প্রদর্শন এবং দিনের জনপ্রিয় টুইটগুলো টাইমলাইনে প্রদর্শন করা।
তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, টুইটে ১৪০ শব্দের সীমাবদ্ধতা দূর করা হচ্ছে ব্যবহারকারীদের সবচেয়ে বড় দাবি।