বিজ্ঞানমতে ফেসবুকের তর্কে যেভাবে জিতবেন
জীবন মানেই তর্ক। কারো সঙ্গে কথা বলতে গেলে তর্ক হতেই পারে। ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও অনেক বিষয়ে মানুষের মধ্যে তর্ক হয়। বাস্তবের তর্ক কিছুক্ষণ পর ভুলে গেলেও ফেসবুকে এর নথি রয়ে যায়। তাই ফেসবুকের তর্কের মাত্রাটা হয় বাস্তবের চেয়ে বেশি। তবে অনলাইনের এই তর্কে জেতার কিছু পদ্ধতি বলেছেন গবেষকরা।
ফেসবুকে তর্ক জেতার গবেষণাটি করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের করনেল ইউনিভার্সিটির একদল গবেষক। চলতি বছরের এপ্রিল মাসে আন্তর্জাতিক ওয়ার্ল্ডওয়াইড ওয়েব সম্মেলনে গবেষণা প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করা হবে।
ফেসবুকের তর্কে জেতার পদ্ধতি হিসেবে গবেষকরা বলেন, অন্য কেউ যদি আপনার পক্ষে থাকে তবে তর্কে জেতার সম্ভাবনা বেশি। বক্তব্যে আগপিছ করাও তর্কে জেতার ক্ষেত্রে সহায়ক হতে পারে। তবে এমন আগপিছ হবে সর্বোচ্চ চারবার। এর বেশি হলে তর্কে হারার আশঙ্কা বাড়ে। গবেষকরা আরো বলেন, কখনোই যাঁর সঙ্গে তর্ক হচ্ছে তাঁর কথা টেনে কিছু বলা যাবে না। এতে তর্কে হারার আশঙ্কা বেড়ে যায। আর তর্ক করতে হবে মাথা ঠান্ডা করে। তর্কে আবেগি হয়ে উঠলে অনেক সময়ই প্রতিপক্ষ ভীত হয়ে তর্ক এড়িয়ে যেতে পারে। আর তর্কে যদি কাউকে হারাতেই হয়ে তবে নিজের বক্তব্য বিস্তারিতভাবে তুলে ধরতে হবে।
করনেল ইউনিভার্সিটির গবেষকরা টানা আড়াই বছর সামাজিক যোগাযোগ ও সংবাদ শেয়ারের ওয়েবসাইট রেডিটে বিভিন্ন বিষয়ে তর্ক নিয়ে গবেষণা করেন। গবেষকরা বিভিন্ন বিষয়ে ১৮ হাজার তর্ক-বিতর্ক পর্যবেক্ষণ করেন। এর মধ্যে কমিকসের মতো হালকা বিষয় থেকে শুরু করে মৃত্যুদণ্ডের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ও ছিল। রেডিটের বিতর্কের মজার বিষয় হলো, কোনো তর্কে কারো যুক্তিতে বিষয়টির উপস্থাপনকারী সন্তুষ্ট হলে তার মন্তব্যে গাণিতিক চিহ্ন ‘ডেল্টা’ পোস্ট করেন। গবেষকরা দেখেন রেডিটের তর্কের বিষয় উপস্থাপনকারী কত ক্ষেত্রে মন্তব্যকারীর যুক্তিতে সন্তুষ্ট হয়েছে। আরো দেখা হয়, সন্তুষ্ট হওয়া যুক্তিতে কী বোঝানো হয়েছে।