মিয়ানমারে সামরিক জান্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে জাতিসংঘের বিশেষ দূতের আহ্বান
মিয়ানমারে সামরিক জান্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের কাছে আহ্বান জানিয়েছেন দেশটিতে সংস্থাটির বিশেষ দূত ক্রিস্টিন শ্রেনার বার্গেনার। মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থানবিরোধী বিক্ষোভে গুলিবর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের ঘটনার পর এ আহ্বান জানান তিনি। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে আজ শনিবার এ খবর জানানো হয়েছে।
জাতিসংঘ বলছে, দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশটিতে ফেব্রুয়ারির অভ্যুত্থানের পর বিক্ষোভে এরই মধ্যে অর্ধশতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে গত বুধবার একদিনেই মৃত্যু হয়েছে ৩৮ জনের। এ দমনপীড়ন উপেক্ষা করেই দেশটিতে অভ্যুত্থানবিরোধী আন্দোলন অব্যাহত আছে।
বিশেষ দূত ক্রিস্টিন শ্রেনার বার্গেনার বলেন, ‘মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীকে আমরা আর কতটা এগোতে দিতে পারি?’ তিনি ১৫ সদস্যের জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের এক সভায় এ কথা বলেছিলেন।
‘এটা গুরুত্বপূর্ণ যে, এই পরিষদ নভেম্বরের সুষ্ঠু নির্বাচনের ফলাফলের সমর্থনে মিয়ানমারের জনগণের পাশে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে সুসংহত,’ বলেন ক্রিস্টিন।
এদিকে সেনাবাহিনীর ক্ষমতা দখলের বিরুদ্ধে বিক্ষোভরতদের ওপর গতকাল শুক্রবার ফের গুলি চালানো হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, শুক্রবার মান্দালয়ে এ গুলির ঘটনায় একজন নিহত হয়েছেন। গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, ওই ব্যক্তির ঘাড়ে গুলি লাগার পর তাঁর মৃত্যু হয়।
জাতিসংঘের মিয়ানমার মিশনে নিজেদের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠায় সামরিক জান্তার ব্যর্থতা ও যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নিষেধাজ্ঞার পরপরই শুক্রবার মান্দালয়ে বিক্ষোভকারীদের ওপর এ গুলির ঘটনা ঘটল।
অভ্যুত্থানবিরোধীরা এদিনও মিয়ানমারের বিভিন্ন শহরে সামরিক বাহিনীর ক্ষমতা থেকে সরে যাওয়া এবং অং সান সু চিসহ রাজনীতিকদের মুক্তির দাবিতে নানান কর্মসূচি করেছে।
রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থান ও এর বিরুদ্ধে বিক্ষোভকারীদের ওপর সশস্ত্র হামলার পরিপ্রেক্ষিতে সেনাসমর্থিত পাঁচটি ইউটিউব চ্যানেল নিজেদের প্ল্যাটফর্ম থেকে সরিয়ে নিয়েছে ইউটিউব।
রয়টার্সের প্রশ্নের জবাবে ইউটিউবের এক মুখপাত্র বলেন, ‘আমরা আমাদের কমিউনিটি গাইডলাইন অনুযায়ী ইউটিউব থেকে বেশ কয়েকটি চ্যানেল সরিয়ে নিয়েছি। বেশ কয়েকটি ভিডিও-ও সরানো হয়েছে।’
মার্কিন প্রযুক্তি সংস্থা জায়ান্টের মতে, ইউটিউব থেকে সরিয়ে ফেলা চ্যানেলগুলোর মধ্যে রয়েছে রাষ্ট্রীয় নেটওয়ার্ক এমআরটিভি, (মায়ানমার রেডিও ও টেলিভিশন), সামরিক মালিকানাধীন মায়াওয়াদি মিডিয়া, এমডব্লিউডি ভ্যারাইটি এবং এমডব্লিউডি মিয়ানমার।