‘অবহেলার কারণে মক্কায় ক্রেন ট্র্যাজেডি’
মক্কায় আল হারাম মসজিদে ক্রেন দুর্ঘটনার জন্য সৌদি সরকার বা কর্তৃপক্ষের অবহেলাকে দায়ী করা হয়েছে। ঐতিহ্যবাহী স্থাপনা নিয়ে গবেষণাকারী সংস্থা ইসলামিক রিসার্চ ফাউন্ডেশনের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ইরফান আল আলাওয়ি এই অভিযোগ করেছেন।
গতকাল শুক্রবার এই পবিত্র মসজিদে নির্মাণকাজ চলাকালে নিরাপত্তাব্যবস্থার দুর্বলতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন লন্ডনভিত্তিক ইসলামিক রিসার্চ ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ইরফান। তিনি সৌদি কর্মকর্তাদের অসতর্কতার কড়া সমালোচনা করে বলেন, ‘তারা এই ঐতিহ্যবাহী মসজিদের যত্নের ব্যাপারে গুরুত্ব দেননি। এমনকি তাঁরা স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তার বিষয়টিও গুরুত্ব দেননি।’
ইরফান আরো বলেন, ‘মসজিদের ওপরে যেভাবে ক্রেনগুলো রয়েছে, তা হজযাত্রীদের নিরাপত্তার জন্য বড় ধরনের হুমকি।’
প্রেসটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, এমনিতেই অনেক ঐতিহ্যবাহী স্থাপনা ধ্বংস করে এবং রাজকীয় এই মসজিদ ও কাবা শরিফের দিকে না তাকিয়ে নতুন নতুন অট্টালিকা তৈরির জন্য সৌদি আরব কঠোর সমালোচনার মুখে রয়েছে।
গতকাল সৌদি আরবে মসজিদের ওপর থেকে একটি ক্রেন ছিঁড়ে পড়ে অন্তত ১০৭ জন হজযাত্রী মারা গেছেন। এ ছাড়া আহত হয়েছেন আরো ২৩৮ জন। দুর্ঘটনাটি এমন সময় ঘটল যখন পবিত্র হজ পালনে লাখো হজযাত্রী মক্কায় গেছেন।
সৌদি প্রেস এজেন্সি জানিয়েছে, মসজিদে নববী ও আল হারাম মসজিদের মুখপাত্র মোহাম্মাদ আল মানসুরি এই দুর্ঘটনার জন্য শক্তিশালী বালুঝড়, বাতাস ও প্রবল বৃষ্টিকে দায়ী করেছেন।
তবে একটি প্রতিবেদনে এটাও জানা গেছে যে, সৌদি আরবের বেসামরিক প্রতিরক্ষা দপ্তর আগে থেকেই এই ঝড়ের ব্যাপারে অবগত ছিল। তবে এ বিষয়ে দেশটির কর্মকর্তারা প্রয়োজনীয় নিরাপত্তাব্যবস্থা কেন গ্রহণ করেননি সে বিষয়টি এখনো স্পষ্ট করে জানা যায়নি।
ওয়েদার ডট কমের আবহাওয়াবিদ জন এরডম্যান জানান, স্যাটেলাইট থেকে পাওয়া ছবিতে দেখা যায়, মক্কাকে ঘিরে থাকা পাহাড়গুলোতে ঝড়বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। মরুভূমি এলাকায় এই ধরনের ঝড়বৃষ্টি থেকে শক্তিশালী দমকা বাতাস তৈরি হতে পারে।