এমন ভালোবাসায় অভিভূত সাবিনা-কৃষ্ণারা
বাংলাদেশের ফুটবলের অন্যতম সেরা সাফল্য এটি। সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে মেয়েদের হাত ধরে আসা শিরোপার-সাফল্য ইতিহাসগড়া। মেয়েদের এই অর্জনে পুরো দেশ আনন্দের জোয়ারে ভেসেছে। অনেক দিন পর ফুটবল থেকে পাওয়া এই সাফল্য, তাই সাবিনা-কৃষ্ণাদের উজাড় করে ভালোবাসা দিয়েছে মানুষ।
বিমানবন্দরে সংবর্ধনা দেওয়ার পর ছাদখোলা বাসে করে সাফের শিরোপা জয়ী মেয়েদের নিয়ে যাওয়া হয় বাফুফে ভবনে। সেখানে ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত হন তারা। নেপাল থেকে ফেরার পর একটা সংবর্ধনা পাবেন নারী ফুটবলাররা, সেটা তারা নিজেরাও ভেবেছিলেন— কিন্তু এত ভালোবাসা পাবেন তা স্বপ্নেও ভাবেননি।
সাফ শিরোপাজয়ী দলের অধিনায়ক সাবিনা খাতুনও বলতে ভুলেননি, এই ভালোবাসায় আমরা মুগ্ধ, অভিভূত। বাফুফে ভবনে এক সংবাদ সম্মেলেন তিনি বলেন, ‘দেশকে এমন একটা সাফল্য এনে দিতে পেরে আমাদের খুবই ভালো লাগছে। ভালোলাগছে সবাই আমাদের উজাড় করে ভালোবাসা দিয়েছেন। ছাদখোলা বাসে করে বিমানবন্দর থেকে মতিঝিলে আসা পর্যন্ত আমরা দেখেছি, মানুষ কেমন ভালোবাসা দিয়েছে আমাদের। ভবিষ্যতে দেশকে আরও সাফল্য এনে দিতে তা আমাদের অনুপ্রাণিত করবে।’
দলের কোচ গোলাম রাব্বানি ছোটন আরও উচ্ছ্বসিত। তিনি বলেন, ‘মেয়েদের প্রতি আমার আস্থা ছিল তারা পারবে। পেরেছেও। এটি আমাদের দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার ফসল। আশা করি ভবিষ্যতে আরও ভালো কিছু উপহার দেবে তারা। তাদের সেই সামর্থ্য আছেও।’
বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন এই সাফল্যের পুরো কৃতীত্ব দিয়েছেন মেয়েদের, ‘মেয়েরা যে সাফল্য এনে নিয়েছে আমাদের, ফুটবলের জন্য তা বড় একটি মাইলফলক। আমাদের আরও বড় কিছু অর্জনের পথ দেখিয়েছে তারা। আশা করি ভবিষ্যতে আরও বড় সাফল্য আসবে তাদের হাত ধরে। এই অর্জনের পুরো কৃতীত্ব মেয়েদের এবং টিম ম্যানেজমেন্টের।’
গত সোমবার ফাইনালে নেপালকে ৩-১ গোলে হারিয়ে শিরোপা জিতেছে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। কাঠমান্ডুর দশরথ রঙ্গশালা স্টেডিয়ামে প্রথমার্ধেই দুই গোল আদায় করে নেয় বাংলাদেশ। আর দ্বিতীয়ার্ধের শেষ দিকে পায় তৃতীয় গোল। শামসুন্নাহার জুনিয়র একটি ও কৃষ্ণা রানি সরকার দুটি করে গোল করেন।
এটি সাফে মেয়েদের প্রথম শিরোপা জয়। এর আগে অনেকবারই ফাইনালে খেলেছিল তারা, কিন্তু একবারও শিরোপার উল্লাস করতে পারেনি। দীর্ঘ দিন পর অধরা শিরোপা এনে দিয়েছে তারা।