আন্তজেলা ডাকাতদলের ৬ সদস্য গ্রেপ্তার
আন্তজেলা ডাকাতদলের ছয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে মেহেরপুর জেলা পুলিশ। আজ রোববার নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান পুলিশ সুপার রাফিউল আলম।
পুলিশ সুপার জানান, তাঁর নেতৃত্বে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি), সাইবার ক্রাইম বিভাগ, সদর ও গাংনী থানা পুলিশ যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের একজনের কাছ থেকে স্থানীয় একটি পত্রিকার পরিচয়পত্রও পাওয়া গেছে।
গ্রেপ্তার হওয়া ডাকাতরা হলেন মুজিবনগর উপজেলার সোনাপুর গ্রামের তরিকুল ইসলাম (২৫), কুষ্টিয়া জেলার খোকসা উপজেলার শিমুলিয়া ডাঙ্গীপাড়া এলাকার আলতাফ মণ্ডল (৬০), কুষ্টিয়া সদর উপজেলার বোয়ালদহ গ্রামের সোহেল হোসেন (৩৫), মেহেরপুর জেলার মুজিবনগর উপজেলার শিবপুর গ্রামের আরিফুল ইসলাম ওরফে খোকন ওরফে প্রতীক (২৮), চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলার বড়বোয়ালিয়া গ্রামের সালাউদ্দীন (৪০), মেহেরপুর সদর উপজেলার সোনাপুর গ্রামের তরিকুল ইসলাম ও কুষ্টিয়া জেলার মিরপুর উপজেলার নদপাড়া গ্রামের শাহ জামাল (৩৪)।
শাহ জামালের কাছে কুষ্টিয়া থেকে প্রকাশিত স্থানীয় একটি পত্রিকার পরিচয়পত্র পাওয়া গেছে।
গ্রেপ্তার হওয়া আলতাফ হোসেন মণ্ডল আশপাশের আটটি জেলার ডাকাতদের সর্দার বলে জানিয়েছে পুলিশ। অপর পাঁচজনই আন্তজেলা ডাকাতদলের সদস্য।
শাহ জামালের নামে মিরপুর, রাজবাড়ি সদর ও কালুখালি, গাংনী থানাসহ বিভিন্ন থানায় ডাকাতিসহ বিভিন্ন অভিযোগে ছয়টি মামলা রয়েছে। ডাকাতদলের সরদার আলতাফ হোসেনের বিরুদ্ধে রাজবাড়ি সদর, কালুখালি, চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা ও গাংনী থানায় চুরি, ডাকাতি ও বিস্ফোর দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মোট ছয়টি মামলা রয়েছে। আরিফুল ইসলাম ওরফে খোকনের নামে গাংনী ও মুজিবনগর থানায় চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, নারী নির্যাতনসহ ছয়টি মামলা রয়েছে। সালাউদ্দীনের নামে ঝিনাইদহ সদর, গাংনী, চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা থানায় চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, মাদ্রকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনসহ একাধিক অভিযোগে সাতটি মামলা রয়েছে।
এ সময় ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত একটি মিনি ট্রাক, ছয়টি মোবাইল ফোন, তিনটি রামদা, একটি গাছ কাটার করাত, নগদ ১০ হাজার টাকা, হাফ প্যান্ট, গামছা ও সাংবাদিকের একটি পরিচয়পত্র পাওয়া গেছে।
এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) জামিরুল ইসলাম, গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক, সদর থানার ওসি রফিকুল ইসলাম, ডিবির ওসি সাইফুল আলমসহ পুলিশের অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
পুলিশ সুপার বলেন, গত ১ সেপ্টেম্বর রাতে গাংনী থানার দেবীপুর-কল্যাণপুর মাঠে, ২৪ সেপ্টেম্বর দেবীপুর-করমদি মাঠে ও ১৩ অক্টোবর ছাতিয়ান-কামারখালি মাঠে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনায় পুলিশ অভিযান শুরু করে। পরে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তা নিয়ে প্রথমে মুজিবনগর উপজেলার সোনাপুর গ্রামের তরিকুল ইসলামকে গাংনী উপজেলার জুগিন্দা গ্রামে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী বাকি পাঁচজনকে গতকাল শনিবার থেকে আজ রোববার ভোররাত পর্যন্ত কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, ঝিনাইদহসহ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়।