একই দড়িতে ঝুলল কিশোর-কিশোরী
দিনাজপুরের বিরল উপজেলার সাকইর গ্রামের ফুলদীঘিপাড়ায় কিশোর ও কিশোরী একই দড়িতে ঝুলে আত্মহত্যা করেছে বলে জানা গেছে। তারা হলো রকিব বাবু (১৭) ও পূর্ণিমা রানী পাল (১৫)।
রকিব বাবুর বাড়ি উপজেলার পলাশবাড়ী ইউনিয়নের সাকইর গ্রামের ফুলদীঘিপাড়ায়। পূর্ণিমা রানীর বাড়ি একই উপজেলার পার্শ্ববতী বিজোড়া ইউনিয়নের শ্রীকৃষ্ণপুর গ্রামে। রঘুপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিল তারা।
রকিবের দাদি তহমিনা বেওয়া (৬৫) বলেন, গত বুধবার স্কুলে পরীক্ষা দিয়ে রকিব বাড়িতে আসে। কাউকে কিছু না বলে বিকেলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। রাতে বাড়িতে না আসায় অনেক খোঁজাখুঁজি করে কোথাও পাওয়া যায়নি। আজ সকালে স্থানীয় লোকজন আমগাছের সঙ্গে ফাঁস লাগানো অবস্থায় তাদের দেখতে পায়।
স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, রকিবের বাবা তিন বছর আগে মারা যান। এর পর থেকে রকিব ও তাঁর ছোট বোন আয়শা মনি দাদির সঙ্গে থাকত। রকিব রাজমিস্ত্রি শ্রমিকের কাজ করে নিজের ও ছোট বোন আয়শা মনির পড়ালেখার খরচ জোগাত।
পলাশবাড়ী ইউনিয়নের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান আব্দুস শুকুর বলেন, দুজনের ভালোবাসার সম্পর্কের বিষয় পরিবারের বা এলাকার কেউ জানত না। বিজোড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেনের একই কথা।
পূর্ণিমা রানীর মা সুবা রানী বলেন, তাঁর মেয়ে বুধবার সন্ধ্যার দিকে বাড়ি থেকে বের হয়। রাতে অনেক খোঁজাখুঁজি করে কোথাও কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। আজ সকালে লোকমুখে জানতে পারেন, সাকইর নামক গ্রামে একই রশিতে ছেলেমেয়ে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে। খরব পেয়ে বাড়ির লোকজন গিয়ে পূর্ণিমার লাশ শনাক্ত করে। তাঁরাও তাদের সম্পর্কের ব্যাপারে কিছু শোনেননি বলে জানান সুবা বানী।
সংবাদ পেয়ে বিরল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ইমতিয়াজ কবীর, উপপরিদর্শক (এসআই) পরিতোষ ঘটনাস্থল থেকে দুজনের লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করেন।
বিরল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মজিদ বলেন, উভয় পরিবার থানায় অপমৃত্যুর (ইউডি) মামলা করেছে।