যৌন হয়রানির অভিযোগ বিসিবির কোচের বিরুদ্ধে
দিনাজপুর জেলা ক্রীড়া সংস্থার নির্বাহী সদস্য ও বিসিবির কোচ আবু সামাদ মিঠুর বিরুদ্ধে প্রমীলা ক্রিকেটারকে যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে।
যৌন হয়রানির শাস্তি দাবি জানিয়ে ভিকটিমের বাবা জেলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি ও জেলা প্রশাসক মীর খায়রুল আলম এবং জেলা ক্রীড়া সংস্থার সিনিয়র সহসভাপতি পুলিশ সুপার হামিদুল আলমের কাছ প্রতিকার চেয়ে আবেদন করেছেন। অভিযোগ পাওয়ার পর জেলা প্রশাসক ব্যবস্থা নেবেন বলে জানিয়েছেন।
যৌন হয়রানির শিকার প্রমীলা ক্রিকেটারের বাবা গত ১৪ জুন জেলা প্রশাসক বরাবরে লিখিতভাবে অভিযোগ করে বলেছেন, তাঁর মেয়ে দিনাজপুর বড় মাঠে কোচ আবু সামাদ মিঠুর অধীনে ক্রিকেট অনুশীলন করে আসছে। তার মেয়ের সঙ্গে আরো অনেক মেয়ে ওই মাঠে ক্রিকেট অনুশীলন করে থাকে। গত ১ জুন মাঠে অনুশীলন করার সময় ক্রিকেট বলের আঘাতে তাঁর মেয়ে আহত হয়। তাকে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য মিঠু স্পোর্টস ভিলেজে নিয়ে আসেন এবং সঙ্গে থাকা তার বান্ধবীকে মাঠে চলে যেতে বলে। মেয়েটি চলে গেলে মিঠু বরফ দেওয়ার নাম করে তার শ্লীলতাহানীর চেষ্টা করেন।
লিখিত অভিযোগে বাবা আরো বলেন, ‘আমার মেয়ে যন্ত্রণায় ছোটফট করতে থাকে এবং ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেয়, আবারও মিঠু তাকে চেপে ধরে। কয়েক বার এ রকম আচরণ করার পর আমার মেয়ে চিৎকার করলে তখন মিঠু মেয়েটিকে ছেড়ে পালিয়ে যায়।’ তিনি আরো বলেন, ‘আমার মেয়ের বয়স মাত্র ১৫ বছর , সে নবম শ্রেণিতে পড়ে। জাতিসংঘের সনদ অনুযায়ী এখনো সে শিশু। ঘটনার পর আমার মেয়ে বাসায় ফিরে নীরব হয়ে যায়- খাওয়া দাওয়া, কথা বলা বন্ধ করে দেয়, মাঠে আসা বন্ধ করে দেয়। বাবা হিসেবে আমি কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়ি। আমার মেয়েসহ অন্য মেয়েদের কথা চিন্তা করে সিদ্ধান্ত নিই এর প্রতিবাদ করা দরকার।’
অভিযোগে আরো বলা হয়, ‘তাই নায্য বিচারের দাবিতে জেলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি ও জেলা প্রশাসক মীর খায়রুল আলম এবং জেলা ক্রীড়া সংস্থার সিনিয়র সহসভাপতি পুলিশ সুপার হামিদুল আলমের কাছ প্রতিকার চেয়ে আবেদন করেছি। যাতে আর কোনো মেয়েকে মিঠুর লালসার শিকার হতে না হয়। কারণ আমি এই ঘটনার সত্যতা যাচাই করতে গিয়ে আরো মেয়েদের কাছে জানতে পারলাম যে, অন্য মেয়েদের সঙ্গেও সে এই ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে। কিন্তু ভয়ে ও লজ্জায় এর আগে কেউ মুখ খুলেনি। অনেক মেয়ে ধীরে ধীরে মাঠ ছেড়ে দিয়েছে।’
বিসিবি ও প্রচেষ্টা ক্রিকেট কোচিং সেন্টারের কোচ আবু সামাদ মিঠুর কাছে জানতে চাইলে তিনি ঘটনা অস্বীকার করে বলেন তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।
অভিযোগ সম্পর্কে জেলা প্রশাসক মীর খায়রুল আলমে বলেন, ‘অভিযোগ পেয়েছি, প্রশাসনিক বিষয়কে সামনে রেখে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’