ফায়ার সার্ভিসের কর্মী নিহতের ঘটনায় ট্রাকচালক-হেলপার কারাগারে
রাজধানীর সচিবালয়ের আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজ করতে গিয়ে ট্রাকচাপায় ফায়ার ফাইটার সোয়ানুর জামান নয়নের মৃত্যুর ঘটনায় গ্রেপ্তার চালক ও হেলপারকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মিনহাজুর রহমান এ আদেশ দেন।
কারাগারে পাঠানো আসামিরা হলেন—ট্রাকচালক মো. বেল্লাল হোসেন সুমন ও তার সহকারী ফরহাদ হোসেন।
এর আগে এ ঘটনায় রাজধানীর শাহবাগ থানায় ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে সড়ক পরিবহণ আইনের ১০৫ ধারায় মামলা করা হয়। মামলার বাদী হয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের সদর দপ্তরে কর্মরত রুহুল আমিন মোল্লা।
মামলার এজাহারে অভিযোগ করে বলা হয়, বুধবার দিনগত রাত ২টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবনে আগুন লাগার তথ্য পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন বাদী রুহুল আমিন। আগুন ছড়িয়ে পড়লে তিনি ফায়ার সার্ভিসের কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষে সাহায্য চান। এর পরিপ্রেক্ষিতে সচিবালয়ের আগুন নিয়ন্ত্রণে তেজগাঁও ফায়ার স্টেশনের স্পেশাল টিম আসে। এই টিমের টিম লিডার ছিলেন মো. হুমায়ুন কবির। তার নেতৃত্বে মিনিবাস গাড়ি ও স্পেশাল টিমের আটজন ফায়ার ফাইটার সচিবালয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে আসেন। তারা অপারেশনাল কাজ চলানোর সময় ফায়ার ফাইটার সোয়ানুর জামান নয়ন ডেলিভারি হোজ নিয়ে সচিবালয়ের মেইন গেটের সামনে রাস্তা পারাপার হচ্ছিলেন। এ সময় গুলিস্থান জিরো পয়েন্ট থেকে কারওয়ান বাজারগামী একটি ট্রাক দ্রুত ও বেপরোয়া গতিতে ফায়ার ফাইটার নয়নকে চাপা দেয়। এতে তার মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর আঘাত লাগে। তাৎক্ষণিক বাদীসহ সহকর্মীরা উপস্থিত লোকজনের সহায়তায় নয়নকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় উপস্থিত ছাত্র-জনতা ঘাতক ট্রাকের চালক বেলাল ও হেলপার ফরহাদকে ট্রাকসহ আটক করে ডিউটিরত থানা পুলিশের হাতে তুলে দেয়।
এ বিষয়ে শাহবাগ থানার ডিউটি অফিসার উপপরিদর্শক (এসআই) প্রশান্ত কুমার সাহা বলেন, ‘ফায়ার ফাইটার নয়ন নিহতের ঘটনায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। ফায়ার সার্ভিসের এক কর্মকর্তা বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেছেন। বিষয়টি আমরা তদন্ত করছি।’