রুয়েট, রাবির শিক্ষার্থীসহ ৯ পরীক্ষার্থীর কারাদণ্ড
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতির দায়ে একজনকে ছয় মাসের এবং আট পরীক্ষার্থীকে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ ছাড়া পরীক্ষার হলে কথা বলার অভিযোগে চার পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষার তৃতীয় দিন আজ বুধবার ‘এফ’ ও ‘এইচ’ ইউনিটের পরীক্ষা হয়।
কারাদণ্ডাদেশ পাওয়া পরীক্ষার্থীরা হলেন হলেন রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী তুষার চক্রবর্তী, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আনাস মুহাম্মদ মারুফ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী মো. জামশেদুল ইসলাম, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল নোমান, জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী আশিকুর রহমান, দিনাজপুরের হাজী দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মো. মশিউর রহমান, পাবনা সদরের মো. সিদ্দিকুর রহমান, চাঁপাইনবাবগঞ্জের মো. জিকেম আলী ও কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার হাসানুল বারি।
এ ছাড়া বহিষ্কার হওয়া পরীক্ষার্থীরা হলেন রাজশাহীর পবা উপজেলার আয়েশা সিদ্দীকা, মতিহার শ্যামপুরের শাহরিয়ার পারভেজ, রাজশাহী মেডিকেল কলেজের ডেন্টাল ইউনিটের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী মিজানুর রহমান ও বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকের কলেজের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ফরিদ উদ্দিন।
আজ ‘এফ’ ও ‘এইচ’ ইউনিটের বিভিন্ন শিফটে পরীক্ষা চলাকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের রবীন্দ্র কলা ভবন, মমতাজউদ্দিন কলা ভবন ও প্রথম বিজ্ঞান ভবন থেকে তাঁদের আটক করা হয়। পরে রাজশাহীর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিলুফা বেগম পাবলিক পরীক্ষাসমূহ (অপরাধ) আইনের ১১ (গ) ধারা অনুযায়ী ৯ পরীক্ষার্থীকে কারাদণ্ডাদেশ দেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক তারিকুল হাসান এনটিভি অনলাইনকে জানান, দুপুরে ও বিকেলে ‘এইচ’ ইউনিটের পরীক্ষা চলাকালে হাসানুল বারিকে ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করার কারণে ছয় মাস এবং আব্দুল্লাহ আল নোমান, আশিকুর রহমান, তুষার চক্রবর্তী, আনাস মুহাম্মদ মারুফ, মো, মশিউর রহমান ও মো. সিদ্দিকুর রহমানকে প্রক্সি (অন্যের হয়ে পরীক্ষা) পরীক্ষা দেওয়ার দায়ে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।’
প্রক্টর আরো জানান, জামশেদুল ইসলাম ও জিকেন আলীকে পরস্পরের মধ্যে ওএমআর শিট বদল করার অভিযোগে সকালে এফ ইউনিটের পরীক্ষা চলাকালে বহিষ্কার করে প্রক্টর দপ্তরে পাঠানো হয়। পরে অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় সেখানে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিলুফা বেগম তাঁদের তিন মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেন। আর বাকি চারজনকে হলে কথা বলার অভিযোগে বহিষ্কার করা হয়েছে।
রাজশাহী নগরীর মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবির এনটিভি অনলাইনকে বলেন, দণ্ডাদেশ পাওয়া নয়জন পরীক্ষার্থীকে জেলে পাঠানো হয়েছে। আর বহিষ্কৃত চার শিক্ষার্থীকে ক্যাম্পাসেই ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।