বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের কর্মবিরতি স্থগিত
কর্মবিরতি কর্মসূচি আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত স্থগিত করেছেন দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকরা। ওই দিন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ফেডারেশনের নেতাদের সঙ্গে একটি সাধারণ সভার পর পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
আজ মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মোজাফফর আহমেদ চৌধুরী মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানিয়েছেন লাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ফেডারেশনের মহাসচিব অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল।
মাকসুদ কামাল বলেন, ‘৩ ফেব্রুয়ারির বৈঠকে আমাদের দাবিগুলো পর্যালোচনা করা হবে। কোনো আমলাতান্ত্রিক জটিলতা অথবা কূটকৌশল প্রয়োগ করে বা দাবিগুলো খণ্ডিতভাবে মানা হলে আমরা ফেডারেশনের নেতাদের সঙ্গে বসে পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করব।’
সংবাদ সম্মেলনের আগে বাংলাদেশের ৩৭টি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিদের নিয়ে এক ঘণ্টা বৈঠক হয়। সেখানে আলোচনা শেষে এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানান মাকসুদ কামাল।
ফেডারেশনের মহাসচিব আরো বলেন, ‘কর্মসূচি প্রত্যাহার করার জন্য প্রধানমন্ত্রী অনুরোধ করেছেন। আমরা প্রধানমন্ত্রীর দৃঢ় নেতৃত্বের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আমাদের দাবি-দাওয়াগুলো তাঁর কাছে পেশ করেছি। তিনি আমাদের দাবিগুলো পর্যালোচনার আশ্বাস দিয়েছেন। আগামীকাল থেকেই আমরা ক্লাসে ফিরে যাচ্ছি।’
এ সময় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী গতকাল আমাদের চা-চক্রে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। আমরা তাঁর ডাকে সাড়া দিয়ে সেখানে গিয়েছি। চা-চক্রের সময় তিনি আমাদের সঙ্গে দেড় ঘণ্টা বৈঠক করেছেন। সেখানে আমাদের সঙ্গে অনেক সচিবও উপস্থিত ছিলেন। আমরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমাদের দাবিগুলো উপস্থাপন করেছি। দাবিগুলো পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে আলোচনা করেছি। প্রধানমন্ত্রী আমাদের আন্দোলন প্রত্যাহার করে নিতে অনুরোধ করেছেন। তিনি আমাদের দাবি মেনে নেওয়ার ব্যাপারে আশ্বস্ত করেছেন।’
অষ্টম জাতীয় বেতন কাঠামোয় সিলেকশন গ্রেড বহাল ও গ্রেড সমস্যা নিরসনের দাবিতে গত ১১ জানুয়ারি থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি শুরু করেন দেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। এ সময় ক্লাস-পরীক্ষা ও সান্ধ্যাকালীন কোর্সগুলোও বন্ধ ছিল।