শিক্ষকদের কর্মবিরতি প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত বিকেলে
অষ্টম জাতীয় বেতন কাঠামোয় গ্রেড সমস্যা নিরসন ও অসঙ্গতি দূর করার দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের পূর্ণ কর্মবিরতি প্রত্যাহারের বিষয়ে আজ মঙ্গলবার বিকেলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের মহাসচিব এ এস এম মাকসুদ কামাল এনটিভি অনলাইনকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
urgentPhoto
ফেডারেশনের মহাসচিব জানান, গতকাল সোমবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা সন্তোষজনক হয়েছে। আজ বিকেল ৫টায় ফেডারেশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে কর্মবিরতি প্রত্যাহারের বিষয়ে জানানো হবে।
এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী আমাদেরকে ক্লাসে ফিরে যেতে বলেছেন। আমাদের সমস্যা সমাধান করবেন বলে আমাদের আশ্বস্ত করেছেন।’ তিনি আরো বলেন, ‘অষ্টম জাতীয় বেতন কাঠামোতে বেতন বৈষম্য নিরসনের জন্য আমরা দীর্ঘদিন যাবৎ আন্দোলন করে আসছি। কিন্তু সরকারের নীতি নির্ধারণী মহল থেকে আমাদের কোনো আশ্বাস দেওয়া হয়নি। গতকাল যখন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করলাম তখন তিনি জটিলতার অবসান ঘটবে বলে আমাদের আশ্বস্ত করেন এবং ক্লাসে ফিরে যেতে বলেন।’
ফেডারেশন সভাপতি বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে যে বিষয়টি আমরা লক্ষ করেছি তাৎক্ষণিকভাবে, তিনি এ বিষয়টির একটি সম্মানজনক সমাধান যাতে হয়, শিক্ষকদের মর্যাদা যাতে কোনোভাবেই যেন নষ্ট না হয়, শিক্ষকদের মর্যাদা যাতে অক্ষুণ্ণ থাকে, এ মর্যাদা যাতে উত্তরোত্তর আরো বৃদ্ধি পায়, এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী ওনার অভিব্যক্তি প্রকাশ করেছেন। আমাদের অনুরোধ করেছেন, আমরা যে কর্মবিরতিতে আছি, তা প্রত্যাহার করে নেওয়ার জন্য।’
অষ্টম জাতীয় বেতন কাঠামোয় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের দেওয়া প্রতিশ্রুতি পূরণ ও অন্যান্য অসঙ্গতি দূর করার দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছেন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।
এরই ধারবাহিকতায় গত ১১ জানুয়ারি থেকে অষ্টম বেতন কাঠামোর বৈষম্য নিরসনের দাবিতে ৩৭টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে এক যোগে পূর্ণ কর্মবিরতি পালন শুরু করেন শিক্ষকরা। কর্মবিরতিতে বাংলাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষাকার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ে। গতকাল সোমবার গণভবনে এক অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পান শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের নেতারা। অনুষ্ঠানের ফাঁকে তাঁদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন শেখ হাসিনা।