আরামিটের আয় কমে অর্ধেক, প্রান্তিকে লোকসান
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি আরামিটের ২০২২-২০২৩ সমাপ্ত অর্থবছরে (জুলাই-জুন) আয় কমেছে ৫১ শতাংশ। এরপরও সমাপ্ত অর্থবছরে কোম্পানিটি শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ২৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অপরদিক কোম্পানিটি ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) লোকসান গুনছে। আজ বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
২০২২-২০২৩ সমাপ্ত অর্থবছরে আরামিটের শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে চার টাকা এক পয়সা। আগের ২০২১-২০২২ অর্থবছরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় ছিল আট টাকা ২৫ পয়সা। এই সময়ে ব্যবধানে আয় কমেছে চার টাকা ২৪ পয়সা বা ৫১ দশমিক ৩৯ শতাংশ। সমাপ্ত অর্থবছরে শেয়ার প্রতি নগদ প্রবাহ (এনওসিএফপিএস) পাঁচ টাকা ৫৯ পয়সা। আগের অর্থবছরের এনওসিএফপিএস ছিল পাঁচ টাকা ১১ পয়সা। গত ৩০ জুন কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১৪৪ টাকা ৯৯ পয়সা। আগের অর্থবছরে এনএভিপিএস ছিল ১৫২ টাকা ২৮ পয়সা। ঘোষিত লভ্যাংশ শেয়ারহোল্ডারদের সম্মতিক্রমে অনুমোদনের জন্য কোম্পানিটির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) ডিজিটাল প্লাটফর্মে শুরু হবে আগামী ৩০ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ১০টায়। এর জন্য রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ৬ ডিসেম্বর।
একইদিন চলতি অর্থবছরের (২০২৩-২০২৪) প্রথম প্রান্তিকের (জুলাই-সেপ্টেম্বর) আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে কোম্পানিটি। প্রতিবেদন হিসেবে প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটি লোকসানে পড়েছে। কোম্পানিটির প্রথম প্রান্তিকে শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ৩৯ পয়সা। আগের অর্থবছরের (২০২২-২০২৩) একই সময়ে শেয়ার প্রতি আয় হয়েছিল এক টাকা ১৩ পয়সা। প্রথম প্রান্তিকে এনওসিএফপিএস নেগেটিভ আট টাকা ২৬ পয়সা। আগের অর্থবছরের একই সময়ে এনওসিএফপিএস ছিল ৮৯ পয়সা। গত ৩০ সেপ্টেম্বর কোম্পানিটির এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ১৪২ টাকা ৫৬ পয়সা।
আয় কমার ও প্রান্তিকে লোকসান প্রসঙ্গে আরামিটের সচিব সৈয়দ কামরুজ্জামান এনটিভি অনলাইনকে বলেন, আমাদের কাঁচামাল রাশিয়া থেকে আমদানি করতে হতো। কিন্তু ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের কারনে সেই আমদানির পথ বন্ধ হয়ে যায়। এতে আমাদের পোডাকশন বন্ধ হয়ে যায়। এর প্রভাবে কোম্পানিটির আয়ে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। এতে ২০২২-২০২৩ সমাপ্ত অর্থবছরে কোম্পানির আয় ৫১ শতাংশ কমেছে। পাশাপাশি চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকের লোকসানও গুনতে হয়।
সামনের প্রান্তিকে ঘুরে দাঁড়াবে আরামিট জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা বর্তমানে ব্রাজিল থেকে কাঁচামাল আমদানি করছি। বেশ ভালোভাবে পোডাকশন কাজ হচ্ছে। সব ঠিক থাকলে সামনের প্রান্তিকে ইতিবাচক প্রভাব দেখা যাবে।
উল্লেখ্য, ১৯৮৪ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় আরামিট। কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন ১০ কোটি টাকা। পরিশোধিত মূলধন ৬ কোটি টাকা। শেয়ার সংখ্যা ৬০ লাখ। বৃহস্পতিবার লেনদেন শুরুতে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি দর ছিল ২৫৮ টাকা ৯০ পয়সা। কোম্পানিটির উদ্যোক্ত পলিচালক ৬৩ দশমিক ৫৮ শতাংশ শেয়ার ধারন করেছে। এছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক পরিচালক ১৪ দশমিক ১৮ শতাংশ এবং সাধারন বিনিয়োগকারীরা ২২ দশমিক ২৪ শতাংশ শেয়ার ধারণ করেছে।