ইউরোপে বেড়েছে আশ্রয়প্রার্থীদের আবেদন, তালিকার ছয়ে বাংলাদেশিরা
উন্নত জীবনের আশায় বৈধ বা অবৈধ উপায়ে ইউরোপে প্রবেশ বেড়েছে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের। একইসঙ্গে বেড়েছে আশ্রয়প্রার্থীদের আবেদনের সংখ্যা। চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে আগের বছরের তুলনায় আশ্রয়প্রার্থীদের আবেদনের সংখ্যা বেড়েছে ২৮ শতাংশ। আজ মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) কর্তৃপক্ষ এ পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে। খবর এএফপির।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন এজেন্সি ফর অ্যাসাইলাম (ইইউএএ) বলছে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত ইউরোপীয় ব্লকের ২৭টি দেশে পাঁচ লাখ ১৯ হাজার আশ্রয়প্রার্থী আশ্রয়ের আবেদন করেছে। যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ২৮ শতাংশ বেশি।
প্রতিবেদনে এএফপি জানিয়েছে, চলতি বছরে ইউরোপে ১০ লাখেরও বেশি আশ্রয়প্রার্থী আবেদন করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আর প্রথম ছয় মাসের পরিসংখ্যান সেই ধারণাকে আরও পাকাপোক্ত করে তুলছে। ২০১৫-১৬ সালে একই অবস্থা দেখা গিয়েছিল। ওই সময়ের পর এবারই প্রথমবারের মতো আশ্রয়প্রার্থীদের আবেদন ১০ লাখ ছাড়াবে। ওই বছরটিতে সিরিয়া যুদ্ধের কারণে আবেদনকারীর সংখ্যা বেড়েছিল।
২০১৫ সালে ইউরোপে ১৩ লাখ ৫০ হাজার আশ্রয়প্রার্থী আশ্রয়ের আবেদন করেছিল। ২০১৬ সালে আবেদনের সংখ্যা কিছুটা কমেছিল। ওই বছরটিতে ১২ লাখ ৫০ হাজার আবেদন ইউরোপের দেশগুলোতে জমা পড়েছিল। তুরস্কে সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদারের পর ২০১৭ সালে এই সংখ্যা আরও কমেছিল। এ ছাড়া অতিমারী করোনাভাইরাসের জন্য ২০২০-২১ সালেও আবেদনের সংখ্যা বেশ কমেছিল।
ইইউএএ বলছে, আশ্রয়াপ্রার্থীদের সংখ্যা বেড়েই চলছে। ২০২২ সালে এই সংখ্যা বেড়েছিল তার আগের বছরের চেয়ে ৫৩ শতাংশ। এতে করে বেশ চাপে রয়েছে ব্লকের দেশগুলো।
এএফপি জানিয়েছে, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে ৪০ লাখ ইউক্রেনীয় বর্তমানে ইউরোপের দেশগুলোতে রয়েছে। যুদ্ধের কারণে সুরক্ষা মর্যাদায় উপকৃত হচ্ছেন তারা। এতে করে ইউরোপের অনেক দেশকে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের জন্য বাসসস্থান ও সহযোগিতার ব্যবস্থা সংকুচিত হয়ে গেছে।
চলতি বছরে জুন পর্যন্ত যতগুলো আশ্রয়প্রার্থী আবেদন করেছে তার চার ভাগের এক ভাগই সিরিয়া ও আফগানিস্তানের নাগরিক। তালিকায় এরপরেই রয়েছে ভেনিজুয়েলা, তুরস্ক, কলোম্বিয়া, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের নাগরিকরা।
২০১৫-১৬ সালে ব্লকে প্রবেশ করা সিরিয়া ও আফগানিস্তানের আশ্রয়প্রার্থীদের আবেদনের শীর্ষে ছিল ইউরোপের বৃহৎ অর্থনীতির দেশ জার্মানি। যা চলতি বছরেও বজায় রয়েছে। ২০২৩ সালের প্রথম ছয় মাসে জার্মানিতে যতগুলো আশ্রয়প্রার্থীর আবেদন পড়েছে তার মধ্যে ৬২ শতাংশই সিরিয়ার নাগরিক। ভেনিজুয়েলার আশ্রয়প্রার্থীদের পছন্দের তালিকার শীর্ষে রয়েছে স্পেন।