আইসিসি র্যাঙ্কিংয়ে মাহমুদউল্লাহ, তাসকিন, সৈকতের উন্নতি
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ব্যাট হাতে উজ্জ্বল ছিলেন মাহমুদউল্লাহ। তিন ম্যাচেই রান পেয়েছেন মোটামুটি। শেষ ম্যাচে হাঁকিয়েছেন হাফসেঞ্চুরি। যার প্রভাব পড়েছে আইসিসির র্যাঙ্কিংয়েও। আইসিসির র্যাঙ্কিংয়ে দুই ধাপ উন্নতি হয়েছে বাংলাদেশি এই অলরাউন্ডারের।
লঙ্কানদের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে উজ্জ্বল ছিলেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতও। ব্যাট হাতে হাফসেঞ্চুরি করেছেন তিনি। যার ফলে র্যাঙ্কিংয়ে ১২ ধাপ এগিয়েছেন তিনি। ১২ ধাপ এগিয়েছেন পেস বোলার তাসকিন আহমেদ।
আজ বুধবার র্যাঙ্কিং হালনাগাদ করেছে ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা। সেখানে ওয়ানডে ব্যাটসম্যানদের র্যাঙ্কিংয়ে দুই ধাপ এগিয়ে ৩৬ নম্বরে উঠছেন মাহমুদউল্লাহ।
শীলঙ্কার বিপক্ষে শেষ ওয়ানডেতে ৫৩ রান করে ১২ ধাপ এগিয়ে ১১৩ নম্বরে উঠেছেন সৈকত। অন্যদিকে পেসার তাসকিন আহমেদ চার উইকেট নিয়ে ১২ ধাপ এগিয়ে উঠেছেন ৮৮ নম্বরে।
অন্যদিকে অবনতি হয়েছে মুস্তাফিজুর রহমানের। একধাপ পিছিয়ে ১০ নম্বরে আছেন তিনি। তবে শেষ ম্যাচে উইকেটশূন্য থাকলেও র্যাঙ্কিংয়ে প্রভাব পড়েনি তাঁর। বোলারদের র্যাঙ্কিংয়ে দুই নম্বরেই আছেন তিনি।
অন্যদিকে অনেক উন্নতি হয়েছে লঙ্কান পেসার দুশমন্থ চামিরার। শেষ ওয়ানডেতে ৫ উইকেট নিয়ে ২৭ ধাপ এগিয়েছেন তিনি। উঠেছেন ৩৩ নম্বরে।
এর আগে গত ২৬ মে আইসিসির প্রকাশিত র্যাঙ্কিংয়ে ওয়ানতে দুই নম্বরে ওঠেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ভারতীয় বোলার জসপ্রীত বুমরাহ, কাগিসো রাবাদাদের পেছনে ফেলে আইসিসির ওয়ানডের বোলারদের র্যাঙ্কিংয়ে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এলেন মিরাজ। এটি তাঁর ক্যারিয়ার সেরা র্যাঙ্কিং। ক্যারিয়ারে সর্বোচ্চ ৭২৫ রেটিং পয়েন্ট পেয়েছিলেন এই স্পিনার। তবে শেষ ম্যাচে উইকেট না পাওয়ায় রেটিং পয়েন্ট কিছুটা কমেছে তাঁর। বর্তমানে তাঁর রেটিং ৭১৩।
বাংলাদেশের তৃতীয় বোলার হিসেবে আইসিসির ওয়ানডে বোলারদের র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষ দুইয়ে জায়গা পেয়েছেন মিরাজ। এর আগে ২০০৯ সালে শীর্ষস্থান দখল করেছিলেন সাকিব আল হাসান। ২০১০ সালে দুই নম্বরে ওঠেন বাংলাদেশের আরেক সাবেক স্পিনার আব্দুর রাজ্জাক। এবার সাকিব-রাজ্জাকের পাশে বসলেন মিরাজ।