নাটকীয় ম্যাচে লখনৌকে হারাল গুজরাট
ক্রিকেট অনিশ্চয়তার খেলা। ক্ষণে ক্ষণে রঙ বদলানো ক্রিকেটে জয় পেতে হলে স্নায়ুচাপ ধরে রাখাটা খুবই জরুরি। আর তা যদি হয় টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট, তাহলে তো কথাই নেই। আইপিএলে জেতা ম্যাচে স্নায়ুচাপ সামাল দিতে না পেরে হারের স্বাদ পেতে হলো কেএল রাহুলের লখনৌ সুপার জায়ান্টসকে।
আজ শনিবার (২২ এপ্রিল) লখনৌর ঘরের মাঠ ভারতরত্ন শ্রী অতল বিহারী ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ব্যাটিং করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে ১৩৫ রান তোলে গুজরাট টাইটান্স। জবাবে ২০ ওভার খেলে ৭ উইকেট হারিয়ে ১২৮ রানের বেশি তুলতে পারেনি লখনৌ। যার সুবাদে ৭ রানের জয়ে চলতি আসরে নিজেদের চতুর্থ জয়ের দেখা পেল হার্দিক পান্ডিয়ার দল।
শুরুতে ব্যাটিং নেমে গুজরাটের দুই ওপেনার ঋদ্ধিমান সাহা ও শুভমান গিল দলকে ভালো শুরু এনে দিতে পারেননি। দলীয় ৪ রানের মাথায় ক্রুনাল পান্ডিয়ার বলে রবি বিশনইকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন গিল। তার বিদায়ের পর অধিনায়ক পান্ডিয়াকে নিয়ে দুর্দান্ত জুটি গড়ে তোলেন সাহা। এই দুজনের ৬৮ রানের জুটিতে বড় স্কোরের স্বপ্ন দেখতে থাকে গুজরাট। তবে, সেই আশা পূরণ হয়নি।
দলীয় ৭২ রানে সাহা বিদায় নিলে দ্বিতীয় উইকেট হারায় গুজরাট। ৩৭ বলে ৪৭ রানের সময় উপযোগী ইনিংস খেলে বিদায় নেন এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার। তার বিদায়ের পর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে শেষমেষ ৬ উইকেটে স্কোরবোর্ডে ১৩৫ রানের বেশি তুলতে পারেনি গুজরাট। লখনৌর হয়ে সর্বোচ্চ দুটি করে উইকেট নেন ক্রুনাল পান্ডিয়া ও স্টোয়নিস।
১৩৬ রানের সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দুর্দান্ত জুটি গড়েন লখনৌর দুই ওপেনার কেএল রাহুল ও কাইল মায়ার্স। পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়ে স্কোরবোর্ডে ৫৩ রান তোলে লখনৌ। এরপরই দলীয় ৫৫ রানের মাথায় মায়ার্সের বিদায়ে প্রথম উইকেট হারায় লখনৌ। তার বিদায়ের পর ক্রুনাল পান্ডিয়াকে নিয়ে ফের ভালো জুটি গড়েন রাহুল। এই দুজনের ৫১ রানের জুটিতে জয়ের স্বপ্ন দেখতে থাকে লখনৌ।
তবে কে জানত, এই ম্যাচের শেষটা হবে নাটকীয়। গুজরাট বোলারদের নৈপুণ্যে শেষের কয়েক ওভারে ঠিকঠাক রানই নিতে পারেনি লখনৌ। রান নিতে না পারলেও নিয়মিত বিরতিতে হারিয়েছে উইকেট।
যদিও একপ্রান্ত আগলে ব্যাটিং করছিলেন রাহুল। তবে, দলকে জেতাতে ব্যর্থ এই ডানহাতি ব্যাটার। শেষ ওভারে জয়ের জন্য যখন ১২ রান প্রয়োজন তখনই আউট হয়ে যান রাহুল। ৬১ বলে ৬৮ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। এরপর আর বাকি ব্যাটাদের কেউই সেই ১২ রান তুলতে পারেননি। ফলে ৭ রানের জয় পায় গুজরাট। গুজরাটের হয়ে মোহিত ও আহমেদ দুটি করে উইকেট নিয়েছেন।