৪৫৮ রানে থামল বাংলাদেশ
লিটন দাস ও মুমিনুল হকের দৃঢ়তায় গতকাল সোমবার টেস্টের তৃতীয় দিন নিশ্চিন্তে কাটাতে পারে বাংলাদেশ। কিন্তু, ওই জুটি ভাঙার পর বাংলাদেশের ইনিংস বেশিদূর নিতে পারেননি ব্যাটিং ভরসার শেষ জুটি মিরাজ ও ইয়াসির। আজ মঙ্গলবার এ জুটি ভাঙলে দ্রুতই গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ।
আজ মঙ্গলবার চতুর্থ দিন সকালে ৪৫৮ রানে থেমেছে বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস। নিউজিল্যান্ডের ইনিংস টপকে বাংলাদেশ লিড নিতে পেরেছে ১৩০ রানের।
মিরাজের সঙ্গে সপ্তম উইকেটে ইয়াসির ৭৫ রানের জুটি গড়েন। এর মধ্যেই বাংলাদেশের তৃতীয় ক্রিকেটার হিসেবে এক হাজার রান ও একশ উইকেটের ডাবল স্পর্শ করেন মিরাজ। ক্যারিয়ারে ৩০টি টেস্ট খেলে এ মাইলফলক স্পর্শ করলেন তিনি। তাঁর আগে এই রেকর্ড গড়েছিলেন সাকিব আল হাসান ও মোহাম্মদ রফিক। বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের লেগেছিল ২৮ ম্যাচ আর রফিকের লেগেছিল ৩৩ ম্যাচ।
বে ওভালে ৬ উইকেটে ৪০১ রান নিয়ে দিন আজ চতুর্থ দিন শুরু করে বাংলাদেশ। ব্যাটিংয়ের শুরুতে কয়েক দফায় জীবন পেয়েছিলেন মিরাজ। কিন্তু নতুন বলও ভালোভাবে সামলান মিরাজ-ইয়াসির। কিন্তু বেশিদূর যেতে পারলেন না। শেষ পর্যন্ত এই জুটি ভাঙেন সাউদি। তাঁর অফ স্টাম্পের বেশ বাইরের বল মোকাবিলা করে কিপারের হাতে ক্যাচ তুলে দেন মিরাজ। ৮৮ বলে ৪৭ রান করে ফেরেন মিরাজ। ১৬০ বলে ভাঙে ৭৫ রানের জুটি। এরপরই একে একে ফিরতে থাকেন বাকিরা। শেষ পর্যন্ত ৪৫৮ রানে থেমে যায় বাংলাদেশ। মোট চতুর্থ দিন ২০.২ ওভারে ৫৭ রান যোগ করে বাংলাদেশ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
নিউজিল্যান্ড প্রথম ইনিংস : ১০৮.১ ওভারে ৩২৮ (ল্যাথাম ১, ইয়ং ৫২, কনওয়ে ১২২, টেইলর ৩১, টম ব্লান্ডেল ১১, নিকোলস ৭৫, রাচিন ৪, জেমিসন ৬, সাউদি ৬, ওয়্যাগনার ০, বোল্ট ৯*; তাসকিন ২৬-৭-৭৭-০, শরিফুল ২৬-৭-৬৯-৩, ইবাদত ১৮-৩-৭৫-১, মিরাজ ৩২-৯-৮৬-৩, শান্ত ২-০-১০-০, মুমিনুল ৪.১-০-৬-২)।
বাংলাদেশ প্রথম ইনিংস : ১৭৬.২ ওভারে ৪৫৮ (সাদমান ২২, মাহমুদুল ৭৮, শান্ত ৬৪, মুমিনুল ৮৮, মুশফিক ১২, লিটন ৮৬, ইয়াসির ২৬, মিরাজ ৪৭, তাসকিন ৫, শরিফুল ৭, ইবাদত ০*; সাউদি ৩৮-৪-১১৪-২, বোল্ট ৩৫.২-১১-৮৫-৪, জেমিসন ৩৫-১১-৭৮-১, ওয়্যাগনার ৪০-৯-১০১-৩, রবীন্দ্র ২৮-৪-৬৭-০)।