অধ্যাপক আনু মুহাম্মদকে হত্যার হুমকি
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) অধ্যাপক এবং তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক আনু মুহাম্মদকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে। বুধবার দিবাগত রাত ১টার দিকে একটি অপরিচিত মোবাইল ফোন নম্বর থেকে পাঠানো বার্তায় এই হুমকি দেওয়া হয়। যে ফোন থেকে এই হুমকি দেওয়া হয়েছে সেই নম্বরটি হলো 01629967551।
এ বিষয়ে অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘সমাজে যারা প্রশ্ন তোলার ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি করছে, এ কাজ তারাই করতে পারে বলে আমার ধারণা।’
আনু মুহাম্মদ বলেন, ‘এখন সমাজে যেকোনো প্রশ্ন উত্থাপনের ক্ষেত্রেই বাধা আছে। সমাজের বিভিন্ন কার্মকাণ্ডের বিষয়ে কেউ প্রশ্ন উত্থাপন করুক, তা একটি অংশ চায় না। তাদের কাজের বিরোধিতা করুক, সমালোচনা করুক, তা যারা চায় না তারাই সমাজে নানা ধরনের ভীতিকর পরিবেশ তৈরি করে রাখতে চায়। এ ঘটনায় তাদের একটি যোগসাজশ থাকতে পারে।
জাতীয় কমিটির এই নেতা আরো বলেন, মূলত হুমকি কারা দিয়েছে, তা তো সরকারই ভালো বলতে পারবে। তাদেরই ভালো বলতে পারার কথা।
এ বিষয়ে আইনানুগ কোনো ব্যবস্থা নেবেন কি না জানতে চাইলে অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, ‘এখনো সিদ্ধান্ত নিইনি পুলিশের কাছে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ করব কি না।’
এ ঘটনায় অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, “গত রাত ১টার দিকে 01629967551 নম্বর থেকে পাঠানো এক বার্তা পেলাম। এর হুবহু : ‘Death keeps no calendar, and Ansatullah knows no time!’’
আনু মুহাম্মদকে হত্যার হুমকি দেওয়ার ঘটনাটিতে ফেসবুকে উঠেছে নিন্দার ঝড়। এ ঘটনার পেছনের ইন্ধনদাতা কে বা কারা এবং ঘটনার সঙ্গে জড়িত দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবি তুলেছেন তাঁরা।
জাবির সাবেক শিক্ষার্থী মাহতাব উদ্দিন আহমেদ ফেসবুকে লিখেছেন, ‘যে ফোন নম্বর থেকে অধ্যাপক আনু মুহাম্মদকে হত্যার হুমকি দিয়ে মেসেজ পাঠানো হলো তাকে খুঁজে বের করতে সরকারের কতক্ষণ লাগার কথা? সরকার তো সব ফোনের বায়োমেট্রিক নিয়েছে। তাহলে অবিলম্বে এই হুমকিদাতাকে গ্রেপ্তার করা হবে না কেন?’
শরীফুল ইসলাম সোহেল নামের একজন লিখেছেন : ‘সুন্দরবন রক্ষার আন্দোলন থামাতে আনসারুল্লাহর নামে রামপারুল্লাহরা হুমকিদাতা হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। কারণ, স্যারের কিছু ক্ষতি হলে সেটা আনসারুল্লাহর ঘাড়ে যাবে। উদোর পিণ্ডি বুধোর ঘাড়ে।’