রাবি শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ তদন্তে কমিটি
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রলীগকর্মীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। শুক্রবার রাতে জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক ইলিয়াছ হোসেন এনটিভি অনলাইনকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিন সদস্যবিশিষ্ট কমিটিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-উপদেষ্টা অধ্যাপক ছাদেকুল আরেফিনকে আহ্বায়ক করা হয়েছে। অন্য দুই সদস্য হলেন- প্রক্টর অধ্যাপক তারিকুল হাসান ও সিন্ডিকেট সদস্য ইনফরমেশন সায়েন্স অ্যান্ড লাইব্রেরি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. উজ্জ্বল হোসেন।
অধ্যাপক ইলিয়াছ হোসেন এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘রোকেয়া হলের আবাসিক শিক্ষক ও ইসলামের ইতিহাস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এ টি এম রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে ছাত্রলীগকর্মী ও ভাষা বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্রীকে যৌন হয়রানি করার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ ওঠার ছয় দিনের মধ্যে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মুহম্মদ মিজানউদ্দিন এ তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন। কমিটিকে দ্রুত ঘটনা তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।’
কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ছাদেকুল আরেফিন বলেন, ‘কমিটি গঠনের বিষয়টি আমাকে জানানো হলেও শুক্রবার অফিস বন্ধ থাকায় এখনো কাগজ হাতে পাইনি। শনিবার এ-সংক্রান্ত নির্দেশনার কাগজ পাওয়ার পরই তদন্তের কাজ শুরু হবে।’
রোকেয়া হলে ছাত্রলীগের পরিচয়ে সিট না পাওয়ায় গত ২০ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষা বিভাগের প্রথম বর্ষের এই ছাত্রী সহকারী অধ্যাপক এ টি এম রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ তোলেন। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ ওই শিক্ষকের শাস্তির দাবিতে প্রথম দিন থেকে ক্যাম্পাসে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছে।
এদিকে, গত ২২ ডিসেম্বর এই অভিযোগকে সম্পূর্ণ মিথ্যা আখ্যা দিয়ে ওই ছাত্রীর শাস্তির দাবিতে রোকেয়া হলের আবাসিক দুজন শিক্ষক, ১০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং ১৬৫ জন ছাত্রীর স্বাক্ষরসংবলিত একটি প্রতিবাদলিপি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে দিয়েছে। প্রভোস্ট কাউন্সিলও অভিযুক্ত শিক্ষককে নির্দোষ দাবি করে প্রশাসনকে চিঠি দিয়েছে।