বায়ার্ন না রিয়াল, ফাইনালের পথে এগোবে কারা?
বায়ার্ন মিউনিখ চলতি মৌসুমে রাজ্যহারা। ১১ মৌসুম পর জার্মান বুন্দেসলিগার শ্রেষ্ঠত্ব খুইয়েছে বায়ার লেভারকুসেনের কাছে। জার্মানির ঘরোয়া টুর্নামেন্টগুলোতেও শিরোপা জয়ের স্বপ্ন শেষ। রইলো বাকি এক, উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ। সেটি জয় করাও যে কঠিন, তা ভালো করেই জানা বায়ার্নের। শেষ চারে উঠে এসেছে দলটি, প্রতিপক্ষ চ্যাম্পিয়ন্স লিগের রাজা রিয়াল মাদ্রিদ।
বায়ার্নের মাঠ অ্যালিয়্যাঞ্জ অ্যারেনায় আজ মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) দিনগত রাত ১টায় মুখোমুখি হবে দল দুটি। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ সেমিফাইনালের প্রথম লেগের ম্যাচটি সহজ হবে না, তা জানে দুই দলই। কোয়ার্টার ফাইনালের দ্বিতীয় লেগে দুর্দান্ত রক্ষণ কৌশলে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ম্যানচেস্টার সিটিকে বিদায় করেছে মাদ্রিদ। কার্লো আনচেলত্তির রণকৌশল দেখে অবাক বনে গিয়েছিল গোটা বিশ্ব।
ডন কার্লো নিজেও জানেন, সিটি আর বায়ার্ন এক নয়। জার্মান ফুটবলের রীতিটাই যেন সবার চেয়ে আলাদা। প্রতিপক্ষের রক্ষণ কীভাবে ভাঙতে হয় সেটি তাদের চেয়ে ভালো খুব কম দলই জানে। জটলা বরং তাদের জন্য জট খোলার চাবি। বায়ার্নে আছেন হ্যারি কেইন, যিনি চলতি মৌসুমে গোলমুখে হয়ে উঠেছেন অপ্রতিরোধ্য। ভাঙছেন একের পর এক রেকর্ড। সঙ্গে বাভারিয়ানদের পুরোনো ভৃত্য থমাস মুলার-লেরয় সানেরা তো আছেনই।
কম যায় না মাদ্রিদও। লস ব্লাংকোরা জানে, এমন ম্যাচে কোন পরিস্থিতিতে কী করতে হয়। সিটির ম্যাচের চাল এ দিন দিলে বানচাল হবে, তা জানেন কার্লো। ডাগআউটে দাঁড়িয়ে আজ কোন খেলা দেখান তিনি সেটির অপেক্ষা। ফুটবলের আয়তক্ষেত্রকে এক মুহূর্তের জন্য দাবার বোর্ড ধরলে, কার্লোর ঘুঁটির অভাব নেই। ডিফেন্সে নাচো-রুডিগার থেকে মিডফিল্ডে টনি ক্রুস-লুকা মদরিচ, সামনে জুড বেলিংহাম-রদ্রিগো, দুই দিকে ভিনি-ভাসকুয়েজ—সৈন্য-সামন্তের অভাব নেই।
জার্মানরা লড়াইয়ে প্রতিপক্ষকে খুবলে খেতে ভীষণ ভালোবাসে। অন্যদিকে মাদ্রিদ শত্রুকে তিলে তিলে নিঃশেষ করে সবটুকু শক্তি শুষে নিতে পছন্দ করে। দুদলের দুরকম রণচর্চায় ম্যাচ জমে ওঠারই কথা।