শেষ হলো নবম বাংলাদেশ গেমস
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে গত ১ এপ্রিল আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছিল ‘বঙ্গবন্ধু ৯ম বাংলাদেশ গেমস’। আজ শনিবার আনুষ্ঠানিকভাবে শেষে হয়েছে দেশের সবচেয়ে বড় ক্রীড়াযজ্ঞ। সাতটি জেলার ২৯টি ভেন্যুতে ৩১ ডিসিপ্লিনে পাঁচ হাজার ৩০০ ক্রীড়াবিদ ১২৭১টি পদকের জন্য লড়াই করেন। ৩৭৮টি স্বর্ণপদকে লড়াইয়ে সেরা হয়েছে বাংলাদেশ আনসার।
করোনার কারণে আজ সন্ধ্যায় গেমসের সমাপনী অনুষ্ঠান অনাড়ম্বরভাবে হয়। গ্যালারিতে ছিল না কোনো দর্শক। সন্ধ্যা সাড়ে ছটায় কোরআন তিলাওয়াতের মধ্য দিয়ে শুরু হয় অনুষ্ঠান। এরপর বেজেছে জাতীয় সংগীত। পরে ভার্চ্যুয়ালি সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন বিওএর প্রেসিডেন্ট ও সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ।
গত কয়েক দিনের গেমসের খণ্ড খণ্ড চিত্রের তুলে ধরা হয়। এরপর হয় লেজার শো, যেখানে দেখানো হয়েছে শৈশবের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। দেখানো হয়েছে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ।
অনুষ্ঠানে ভার্চ্যুয়ালি যোগ দেন প্রধান অতিথি ও গেমসের আয়োজক কমিটির চেয়ারম্যান অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
বাংলাদেশ আনসার ১৩২টি স্বর্ণ জিতে গেমসে সেরা হয়েছে।
এদিকে গেমসটি গত বছর এপ্রিলে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে সেই সময় গেমস আয়োজন করা সম্ভব হয়নি।
গেমস আয়োজনে বাজেট ধরা হয়েছিল ৩৮ কোটি টাকা। শেষ পর্যন্ত তা কমিয়ে ২০ কোটি টাকা করা হয়। সরকার থেকে ১৫ কোটি টাকা পায় বিওএ।